• বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
শান্তিরক্ষার দায়িত্বে সরকার সচেতন থাকবে: আইনমন্ত্রী পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী হরতাল-অবরোধের প্রভাব পণ্য পরিবহনে, বাড়তি ব্যয়ের বোঝা ভোক্তাদের কাঁধে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, অনুসন্ধানে বিসিবির কমিটি পোর্তোকে হারিয়ে নক আউট পর্বে বার্সেলোনা তাইজুল ঝলকে দ্বিতীয় দিন শেষেও এগিয়ে বাংলাদেশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিচারকের সই জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৪ ডিসেম্বর ‘অনুমতি ছাড়া তথ্য ব্যবহারে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা’

অর্পিত সম্পত্তি আইন নিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

Reporter Name / ৪৭ Time View
Update : শনিবার, ২০ আগস্ট, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘অর্পিত সম্পত্তি আইন’ চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত রিট মামলায় মূল মালিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের কয়েকটি নির্দেশনা বাতিল করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আপিল নিষ্পত্তি করে আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে। আজ শনিবার আপিলকারীর পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে অর্পিত সম্পত্তি আইন চালেঞ্জ করে সরকারের সাবেক কর্মকর্তা আবদুল হাই জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন এবং রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলটি নিষ্পত্তি করে রায় ঘোষণা করেন। রায়টিতে হাইকোর্ট মতামত ও নির্দেশনা দেন যে, ভবিষ্যতে আর কোনও সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত করা যাবে না, প্রতিটি জেলায় সম্পত্তি অর্পিত নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করা, প্রতি জেলায় আপিল ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্দিষ্ট সময় মামলা নিষ্পত্তি করা, মামলা ফাইল এর ক্ষেত্রে তামাদি আইন প্রয়োগ করা, ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল এর রায় নির্দিষ্ট সময় বাস্তবায়ন করা, সরকারের দখলে থাকা নির্দাবি অর্পিত সম্পত্তি মানুষের উন্নয়নে ব্যবহার করা, প্রয়োজনীয় আইন করে যে সম্পত্তিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে সেগুলোর নামকরণে মূল মালিককে অন্তর্ভুক্ত করা এবং যে সকল অর্পিত সম্পত্তি অপ্রত্যাপনযোগ্য সেইক্ষেত্রে মালিককে আইন করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয় আপিল দায়ের করে এবং শুনানি শেষে গত ২ জুন আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি বোরহানউদ্দিন এবং বিচারপতি এম. এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগ তার রায়ে বলেন, ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে প্রণীত আইনে ট্রাইব্যুনাল গঠন, নির্দিষ্ট সময় মামলা নিস্পত্তি, তামাদি আইন প্রয়োগ, ডিক্রি বাস্তবায়ন, আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন, অর্পিত সম্পত্তি উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার ইত্যাদি সংক্রান্ত বিধানগুলি আছে। রায়ে বলা হয় আদালত কোনও আইন করার বিষয় ম্যানডামাস ইস্যু করতে পারে না, সরকারের নিকট ন্যাস্ত সম্পত্তির বিষয় সরকারের উপর আইন করার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। আদালত রায়ে আরও বলেন, ভবিষ্যতে আর কোনও সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত না করার বিষয় নির্দেশনা নিরর্থক। কারণ আপিল বিভাগ ইতঃপূর্বে দেওয়া রায়ে ১৯৭৪ সালের ২৩ মার্চের পরে অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্তি বে-আইনি ঘোষণা করেছে। আপিলকারী ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাভোকেট মনজিল মোরসেদ। বিবাদি ও রিটকারীর পক্ষে ছিলেন অ্যাভোকেট মো. ইমতিয়াজ ফারুক। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাভোকেট সুব্রত চৌধুরী। রায় প্রসঙ্গে মনজিল মোরসেদ বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কারণ যদি মূল মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হতো তাহলে হাজার হাজার একর অর্পিত সম্পত্তি যা সরকারের দখলে আছে সেসব সম্পত্তির মূল্য বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ পরিশোধ করতে হতো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category