• মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
বিপুলসংখ্যক গাড়ির ইঞ্জিন ভেজাল জ্বালানি তেলে নষ্ট হলেও পর্যাপ্ত নজরদারি নেই বছরের পর বছর নিলামের অপেক্ষায় কয়েক হাজার পণ্যভর্তি কনটেইনার রাজস্ব ঘাটতি মেটাতে কিছু পণ্যে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আবারও বাড়তে পারে নীতি সুদহার বেনজীর ও তার মেয়ের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ কারাবন্দিদের হাতে তৈরি তিন শতাধিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাণিজ্য মেলায় অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না: হাইকোর্ট শীতজনিত রোগীর চাপ রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি হাসপাতালে বাড়ছে শুল্কমুক্ত সুবিধায় হাজার হাজার টন চাল আমদানিতেও বাজারে প্রভাব পড়েনি টিউলিপের উচিত ক্ষমা চাওয়া: ইউনূস

আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিলেন পরীমনি

Reporter Name / ১০৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২

এড. মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (দুলাল) :
রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হাজিরা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন পরীমনির আইনজীবী নীলঞ্জনা রিফাত সুরভি তার পক্ষে হাজিরা দেন। অন্যদিকে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেন। এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে হাজির না হওয়ায় রাষ্টপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২৫ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এ ছাড়া মামলার বাদী মজিবুর রহমানকে পুনরায় জেরা করার জন্য আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবী। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালত পরীমনির দেওয়া আবেদন মঞ্জুর করে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। এর আগে ১২ মে পরীমনি অসুস্থতাজনিত কারণে ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ চেয়ে আবেদন করেন। গত ১ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার বাদী র‌্যাব-১ এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন মামলার বাদীর জবানবন্দি শেষে পরীমনি ও কবীর হালদারের পক্ষে অ্যাডভোকেট মাজেদুর রহমান মামুন তাকে জেরা করেন। কবীর হালদারের পক্ষে জেরা শেষ হলেও পরীমনির পক্ষে শেষ হয়নি। অন্য আসামি আশরাফুল ইসলাম দিপুর পক্ষে তার আইনজীবী এস এম আক্তারুজ্জামান হিমেল জেরা করেন। ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে আসামি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। ২০২১ সালের ৪ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, চিত্রনায়িকা পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন। একই বছরের ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র‌্যাব। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। তার পরদিন গত ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category