স্পোর্টস ডেস্ক : চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দুবাই পর্ব শুরু হয়ে গেছে, কলকাতা নাইট রাইডার্স খেলে ফেলেছে তিনটি ম্যাচও। তবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সাকিবের জায়গা হয়নি একটি ম্যাচেও। সাকিবের একাদশে জায়গা না পাওয়ার জন্য মরগানকে দায়ী করছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীরা। আইপিএলে কোনো দলের একাদশে সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি (অভারতীয়) খেলতে পারেন। গত কয়েক ম্যাচে বিদেশি কোটায় কলকাতা দলে খেলছেন এউইন মরগান, আন্দ্রে রাসেল, লোকি ফার্গুসন ও সুনীল নারিন। তবে মরগান ছাড়া বাকি তিনজনই ভালো করছেন। মরগান কলকাতার অধিনায়ক বলেই একাদশে জায়গা পাচ্ছেন। তা না হলে হয়তো মরগানের জায়গায় বিদেশি কোটায় সাকিবই খেলতেন। বিদেশি কোটায় মরগানের বদলে কলকাতা একাদশে সাকিবের জায়গা পাওয়াটার কথাটা ?যুক্তিসঙ্গতই বটে। অন্তত পরিসংখ্যান সেই কথাই বলেছে। আইপিএলে মরগান এ পর্যন্ত ৭৬ ম্যাচ খেলেছেন। ৬৮ ম্যাচে ব্যাটিং করে মোট ১৩৭৯ রান করেছেন তিনি। অন্যদিকে, ৬৬ ম্যাচ খেললেও সাকিব ব্যাটিং পেয়েছেন মাত্র ৪৯টিতে। সেখানে রান করেছেন ৭৮৪। ৬৮বার ব্যাটিং করা মরগানের (১০) চেয়ে বেশিবার অপরাজিত থেকেছেন ৪৯বার ব্যাটিং করা সাকিব (১১)। স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হয়ে খেলা মরগানের ব্যাটিং গড় ২৩.৭৮। অন্যদিকে, অলরাউন্ডার হয়ে খেলা সাকিবের ব্যাটিং গড় মরগানের কাছাকাছিই, ২০.৬৩। টি-টোয়েন্টি হলো মারকাটারি ক্রিকেটের খেলা। সেখানে বোলারদের ওপর চড়াও হওয়াই ব্যাটসম্যানদের কাজ। তাই ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইক রেট যার যত বেশি একাদশে তার গুরুত্বও তত বেশি হয়ে থাকে। স্ট্রাইক রেটের দিক দিয়ে মরগানের চেয়ে কিছুটা এগিয়েই আছেন সাকিব। আইপিএলে সাকিবের স্ট্রাইক রেট ১২৪.৮৪। অন্যদিকে, মরগানের স্ট্রাইক রেট ১২৪.১২। টপ অর্ডারে ব্যাটিং করা মরগানের সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৮, আর বেশির ভাগ সময়ে নিচের দিকে ব্যাট করা সাকিবের সর্বোচ্চ ৬৬। ব্যাটিং পরিসংখ্যানে দুজনের প্রায় সমান সমান থাকলেও সাকিবকে অনেক এগিয়ে রাখছে তার বোলিং। ৬৬ ম্যাচে সাকিব শিকার করেছেন ৬১টি উইকেট। আর মরগান কখনো বোলিং করেননি। তাই মরগান নয়, কলকাতার একাদশে সাকিবেরই সুযোগ পাওয়া কথা। তবে অধিনায়ক হওয়ায় আপাতত ‘অটো চয়েস’ হিসেবেই খেলছেন ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মরগান। সূত্র : ক্রিকবাজ