• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

আ.লীগ নেতা খুনের ঘটনায় ৩ ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ

Reporter Name / ৭৪ Time View
Update : রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় পাঁচ বছর আগে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে অপহরণের পর নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিন ভাইকে ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকার নুর মোহাম্মদের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে লম্বা সিদ্দিক, তার ভাই ইউনুস হোসাইন মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তফা আবু কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম। মামলায় একই এলাকার নুরুল আজিজের ছেলে সোহায়েতকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। শেফায়েত নামে মামলার আরেক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ২০১৬ সালের ৩০ জুন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল হুদাকে (৬০) অপহরণের পর গলা কেটে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত এ রায় দিলেন। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে লম্বা সিদ্দিক আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট আইয়ুব খান বলেন, আদালত মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিন জনকে মৃত্যুদ- ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে ঘোষিত রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে দাবি আসামি পক্ষের আইনজীবী কপিল উদ্দিন আহমেদের। তিনি বলেন, আমরা ন্যায়বিচার পায়নি। উচ্চ আদালতে এ মামলায় আপিল করবো। নিহতের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়ের দিন চা দোকানে টিভিতে ফাঁসি কার্যকর হওয়ার খবর প্রচার হচ্ছিল। তা দেখে আামার পিতা বলতে থাকেন ‘শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর একে একে সব রাজাকারের ফাঁসি দিচ্ছে।’ এ সময় চা দোকানে থাকা জামায়াত সমর্থক আসামিরা আমার বাবার কথায় ক্ষিপ্ত হন। পরে চা দোকান থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমার ভাই শাহজাহান বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ৩ জুলাই চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়। তৎকালীন চকরিয়া থানার এসআই মো. আলমগীর ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর তদন্ত শেষে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল রোববার আদালত এ রায় দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category