• বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

ইবি ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

Reporter Name / ৫৪ Time View
Update : শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী সাত কার্যদিবসের ভেতর তাদের কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ বিষয়ে জবাব চাওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন, পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা চৌধুরী ওরফে অন্তরা, চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার ঊর্মি, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও একই বিভাগের মুয়াবিয়া জাহান। এর মধ্যে সানজিদা চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। অন্যরা ছাত্রলীগের কর্মী। নির্যাতনের ঘটনায় পাঁচজনকেই সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঘটনা তদন্তে নেমে ফুলপরী খাতুনের ওপর নির্যাতনের সত্যতা খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি। ওই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে বেশকিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আগামী ৮ মে’র ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় হাইকোর্টের আদেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে গত বুধবার দুপুরেই দেশরতœ শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করা হয়। হাইকোর্ট থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয় ভুক্তভোগী ফুলপরী যে হলে থাকতে চাই সে হলের আবাসিকতা দেওয়ার জন্য। সে নির্দেশ মোতাবেক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ফুলপরীকে রুম বরাদ্দ দিয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল প্রশাসন। হলের ৫০১ নং রুমে তার আবাসন দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, যেহেতু হাইকোর্টের নির্দেশে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্ব দিয়েছিলো তাকে তার পছন্দমতো হলে তুলে দেওয়ার, সে কারণে আজকে সকালে ফুলপরী ক্যাম্পাসে এসে আমার দপ্তরে আসে। সে বঙ্গমাতা হলে থাকার ইচ্ছে পোষণ করে। পরে আমরা হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে হল মাইগ্রেশনের যাবতীয় বিষয়াবলী সম্পন্ন করে তাকে ৫০১ নম্বর রুমে আবাসিকতা দিয়ে সেখানে তুলে দিয়েছি। এর আগে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাবনা ও কুষ্টিয়া পুলিশের নিরাপত্তায় ক্যাম্পাসে ফেরেন ভুক্তভোগী ও তার বাবা আতাউর রহমান। ক্যাম্পাসে এসে নতুন হল বাছাই করেন ফুলপরী। নতুন হল হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকার ইচ্ছে পোষণ করেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরতœ শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাসসুমসহ আরও সাত-আটজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। ঘটনা তদন্তে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেইসঙ্গে ১৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে শাখা ছাত্রলীগ। এছাড়া, ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বুধবার ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন ও আজগর হোসেন তুহিন। তখন তাদের লিখিত আবেদন দিতে বলেন আদালত। সে অনুসারে তারা জনস্বার্থে রিট করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রিটের শুনানি শেষে একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই মাঝে গত ১৮, ২০ ও ২২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কমিটির ডাকে মোট তিনবার পৃথকভাবে ক্যাম্পাসে এসে সাক্ষাৎকার দেন ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। এরইমধ্যে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে ছাত্রলীগের গঠিত। এর ভিত্তিতে গত ১ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে পাঁচ অভিযুক্ত নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category