• সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার

ই-কমার্স বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিবেদন না পেয়ে হাইকোর্টের ক্ষোভ

Reporter Name / ১৮২ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ই-কমার্সের অনিয়ম নিয়ে করা পৃথক তিনটি রিটের শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। ওইদিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসি কী তাও জানাতে হবে আদালতকে। এছাড়া ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও সেদিন জানাতে হবে। সংশ্লিষ্টদের আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে তা আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছেন আদালত। ওইদিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার শুনানির সময় এ তিন বিষয়ে প্রতিবেদন না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। পূর্বের আদেশ অনুযায়ী শুনানিতে এ বিষয়ে প্রতিবেদন না পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আজ মঙ্গলবার উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আদালত বলেন, নোটিশ জারির পরেও তারা রেসপন্স করবে না? বিষয়টি আমরা কিন্তু সিরিয়াসলি নেবো। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিপুল বাগমারকে উদ্দেশ করে আদালত বলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, আপনি অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তাকে জানান। এসব আমরা কিন্তু টলারেট করবো না। এরপর আদালত আগামী ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে ওইদিন পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করেন। দেশের ই-কমার্স খাতের ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে করা পৃথক তিনটি রিট করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ওই তিন বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে জানাতে নির্দেশ দেন। আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ারুল ইসলাম। ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ জন গ্রাহক ডিজিটাল বা ই-প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। তাদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এছাড়া ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দুজন গ্রাহকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব আরেকটি রিট করেন। রিটে কোন ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থতায় ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের ক্ষতি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারকের নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই তিন রিট একত্রে শুনানি নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর এসব আদেশ দেন। প্রথমে গত ৮ নভেম্বরের আবার ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তা আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছিলেন আদালত। এরপর আজ মঙ্গলবার শুনানির জন্য বিষয়টি হাইকোর্টে ওঠে। কিন্তু এদিন এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন না আসায় শুনানিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। সেই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে ওইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. হুমায়ুন কবির পল্লব, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ার হোসেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার, তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সেলিম আজাদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. দেলুয়ার হোসেন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সিরাজুল আলম ভুইয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category