নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বহুমূখী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে সরকার। প্রাকৃতিক ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় মানুষের জানমাল রক্ষায় উপকূলজুড়ে ব্যাপক বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী সৃষ্টি করছে সরকার। উপকূলীয় এলাকায় এ যাবৎ ২ হাজার ২৭৭ বর্গকিলোমিটার চর বনায়ন করা হয়েছে। আজ বুধবার জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব মিলনায়তনে সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পরিবেশমন্ত্রী। পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষায় এর ৫২ শতাংশ এলাকাকে রক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখান থেকে সবধরনের বনজ সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, ডলফিন, কুমিরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী রক্ষায় অভয়ারণ্য ঘোষণাসহ বিবিধ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্প বা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এলক্ষ্যে, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বনজীবী, বনকর্মী ও বন্যপ্রাণীর খাবারের পানির জন্য চারটি নতুন পুকুর ও ৮৪টি পুকুর পুনঃখনন করা হয়েছে। শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলেই কেবল সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি হ্রাস করতে সক্ষম হবো। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল প্রমুখ। মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার ম-ল। সংলাপে দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকার জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, দাতা সংস্থা, গবেষক, সুশীল সমাজ, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।