নিজস্ব প্রতিবেদক :
লএনজি আমদানি বাবদ পেট্রোবাংলার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব বকেয়া পড়েছে। সরকারি ওই সংস্থার কাছে বিশাল অঙ্কের অনাদায়ি রাজস্ব নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দুশ্চিন্তায় পড়েছে। মূলত গত ৬ মাসে এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানিতে ওই রাজস্ব বকেয়া পড়েছে। আর তার পরিমাণ ৩ হাজার ৭শ কোটি টাকা। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, এলএনজি আমদানি করে বিগত ৬ মাসে পেট্রোবাংলা কোনো রাজস্ব দেয়নি। নিয়ম মোতাবেক আমদানি শুল্ক দিয়েই পণ্য ছাড় নেয়ার কথা। তবে সরকারি অতি প্রয়োজনীয় জ¦ালানি হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় আমদানি শুল্ক বকেয়া রেখেই এলএনজি খালাসের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ওই ছয় মাসেই পেট্রোবাংলার কাছে ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব বকেয়া পড়েছে। বকেয়া ওই রাজস্ব আদায়ে পেট্রোবাংলাকে চিঠির পর চিঠি দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু এখনো ওই বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ করা হয়নি। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ওসব বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, প্রায় সব রাজস্বই জ¦ালানি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে। ওসব বকেয়া আদায় সম্ভব হলে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৪২ শতাংশে দাঁড়াতো। শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে পেট্রোবাংলার কাছে শুল্ক বকেয়া পড়েছে ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। তাছাড়াও পেট্রোলিয়াম জ¦ালানি আমদানিতে পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের কাছে রাজস্ব বকেয়া পড়েছে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের কাছে ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের (এসএওসিএল) কাছে বকেয়া ৫৭ লাখ টাকা। একই সঙ্গে জ¦ালানি উপকরণ আমদানিতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি লিমিটেডের কাছে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা, এক্সিলারেট এনার্জির কাছে ১৩ লাখ টাকা বকেয়া পড়েছে।