ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনা নিন্দনীয়, তবে পর্যটনে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্প্রতি কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি নিন্দনীয় উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, এই ঘটনা পর্যটনখাতে নেতিবাচক প্রচাব ফেলবে না। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে আয়োজিত ‘প্রেস কনফারেন্স, লোগো উন্মোচন এবং আলোচনা সভা’য় তিনি এ কথা বলেন। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ গত শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ড সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই ঘটনাকে নেতিবাচক হিসেবে নেয়নি। কক্সবাজারের ঘটনাও (সংঘবদ্ধ ধর্ষণ) নিন্দনীয়। সরকার সেখানে সঙ্গে সঙ্গেই আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। অল্প স্বল্প সব দেশেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এতে সরকারের বা পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। সম্প্রতি এক নারী অভিযোগ করেন, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর রোড সংলগ্ন এক ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামে হোটেলে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর মামলা করেন ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী। ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। যদিও ওই নারীর কক্সবাজারে নিয়মিত যাতায়াত নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে ধর্ষণ মামলার মূলহোতাসহ কয়েকজন আসামিকে এরইমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে। মো. মাহবুব আলী বলেন, কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে আকর্ষণীয় হিসাবে গড়ে তুলতে যথেষ্ট অবদান রাখছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি)। পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দেশের প্রথম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও পরিচালনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করেছে, যারা দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। লিখিত বক্তব্যে মাহবুব আলী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্নে মাত্র ৭টি বাণিজ্যিক ইউনিট নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বর্তমান ইউনিট সংখ্যা ৫০টি। আরও বেশ কয়েকটি ইউনিট চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি জানান, বিগত ১২ বছরে প্রায় ২৮৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে পর্যটন করপোরেশন। এরইমধ্যে বাপক-এর বিদ্যমান ১০টি হোটেল-মোটেলের সংস্কার, ৮টি গাড়ি সংগ্রহ করা, কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় চেঞ্জিং ক্লোসেট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংস্থার সকল বাণিজ্যিক ইউনিটকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। সিলেটের লালাখাল, কুমিল্লার জোড়কানন দিঘী, নাটোর, শেরপুরের গজনী ও নেত্রকোণা জেলার বিজয়পুরে পর্যটকদের সুবিধাদি সংবলিত সেবাকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এ সংস্থার বাণিজ্যিক ইউনিটসমূহে ডিজিটাল সাইনেজ এবং আইপি ক্যামেরা ও সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ৩৩৫ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চট্টগ্রামস্থ আনোয়ার উপজেলার পারকিতে পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন, টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামীণ পরিবেশ অক্ষুণœ রেখে গ্রামীণ পর্যটন উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাঘিয়াকূল নদীর স্টিমার ঘাটে পর্যটন সুবিধাদি সৃষ্টি, পঞ্চগড়ে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ, সুনামগঞ্জস্থ টেকেরঘাটে জলবায়ু সহিষ্ণু দায়িত্বশীল পর্যটন ব্যবস্থা প্রবর্তন, কক্সবাজার জেলার খুরুশকূলে শেখ হাসিনা টাওয়ার নির্মাণ এবং পর্যটন জোন স্থাপন সমীক্ষা প্রকল্প, বরিশালের দুর্গাসাগরে পর্যটন সুবিধাদি নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন সুবধিাদি নির্মাণ, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, দেশের অভ্যন্তরে প্যাকেজ ট্যুর চালু করার লক্ষ্যে ৬টি ট্যুরিস্ট বাস ক্রয়, নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শনগরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ ইত্যাদি। ১৯৭২ সাল থেকে দেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। জন্মলগ্ন থেকেই সংস্থাটি সরকারি বরাদ্দ ও নিজস্ব আয় থেকে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। পর্যটকদের কাছে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য এবং মানসম্মত অতিথি সেবার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পথিকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অর্ধ-শতাব্দির অভিজ্ঞতা এবং সময়োপযোগী কর্মোদ্যোগের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে আগামীতেও নেতৃত্বের জায়গায় থেকে কাজ করবে মর্মে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ.ম উবাইদুল মোকতাদির চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব এ.এইচ.এম গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশকে অবহেলা করে দেশ গড়া যাবে না: প্রধান উপদেষ্টা

কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনা নিন্দনীয়, তবে পর্যটনে প্রভাব পড়বে না: প্রতিমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩৬:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্প্রতি কক্সবাজারে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের যে ঘটনা ঘটেছে, সেটি নিন্দনীয় উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, এই ঘটনা পর্যটনখাতে নেতিবাচক প্রচাব ফেলবে না। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে আয়োজিত ‘প্রেস কনফারেন্স, লোগো উন্মোচন এবং আলোচনা সভা’য় তিনি এ কথা বলেন। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ২০১৯ সালের ১৫ মার্চ গত শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ টেনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিউজিল্যান্ড সরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ওই ঘটনাকে নেতিবাচক হিসেবে নেয়নি। কক্সবাজারের ঘটনাও (সংঘবদ্ধ ধর্ষণ) নিন্দনীয়। সরকার সেখানে সঙ্গে সঙ্গেই আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে। অল্প স্বল্প সব দেশেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। এতে সরকারের বা পর্যটনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। সম্প্রতি এক নারী অভিযোগ করেন, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজার শহরের কবিতা চত্বর রোড সংলগ্ন এক ঝুপড়ি ঘরে আটকে রেখে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে জিয়া গেস্ট ইন নামে হোটেলে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর মামলা করেন ভুক্তভোগীর নারীর স্বামী। ঘটনাটি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। যদিও ওই নারীর কক্সবাজারে নিয়মিত যাতায়াত নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন বার্তা দেওয়া হচ্ছে। তবে ধর্ষণ মামলার মূলহোতাসহ কয়েকজন আসামিকে এরইমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে। মো. মাহবুব আলী বলেন, কক্সবাজারসহ দেশের অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোকে আকর্ষণীয় হিসাবে গড়ে তুলতে যথেষ্ট অবদান রাখছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি)। পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য দেশের প্রথম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ন্যাশনাল হোটেল ও ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউটও পরিচালনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করেছে, যারা দেশে-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। লিখিত বক্তব্যে মাহবুব আলী বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্নে মাত্র ৭টি বাণিজ্যিক ইউনিট নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের বর্তমান ইউনিট সংখ্যা ৫০টি। আরও বেশ কয়েকটি ইউনিট চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি জানান, বিগত ১২ বছরে প্রায় ২৮৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে পর্যটন করপোরেশন। এরইমধ্যে বাপক-এর বিদ্যমান ১০টি হোটেল-মোটেলের সংস্কার, ৮টি গাড়ি সংগ্রহ করা, কক্সবাজার ও কুয়াকাটায় চেঞ্জিং ক্লোসেট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংস্থার সকল বাণিজ্যিক ইউনিটকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। সিলেটের লালাখাল, কুমিল্লার জোড়কানন দিঘী, নাটোর, শেরপুরের গজনী ও নেত্রকোণা জেলার বিজয়পুরে পর্যটকদের সুবিধাদি সংবলিত সেবাকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এ সংস্থার বাণিজ্যিক ইউনিটসমূহে ডিজিটাল সাইনেজ এবং আইপি ক্যামেরা ও সাউন্ড সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ৩৩৫ কোটি টাকার ১২টি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যার বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চট্টগ্রামস্থ আনোয়ার উপজেলার পারকিতে পর্যটন সুবিধাদি প্রবর্তন, টুঙ্গিপাড়ায় গ্রামীণ পরিবেশ অক্ষুণœ রেখে গ্রামীণ পর্যটন উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাঘিয়াকূল নদীর স্টিমার ঘাটে পর্যটন সুবিধাদি সৃষ্টি, পঞ্চগড়ে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ, সুনামগঞ্জস্থ টেকেরঘাটে জলবায়ু সহিষ্ণু দায়িত্বশীল পর্যটন ব্যবস্থা প্রবর্তন, কক্সবাজার জেলার খুরুশকূলে শেখ হাসিনা টাওয়ার নির্মাণ এবং পর্যটন জোন স্থাপন সমীক্ষা প্রকল্প, বরিশালের দুর্গাসাগরে পর্যটন সুবিধাদি নির্মাণ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মহানন্দায় শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন সুবধিাদি নির্মাণ, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ, দেশের অভ্যন্তরে প্যাকেজ ট্যুর চালু করার লক্ষ্যে ৬টি ট্যুরিস্ট বাস ক্রয়, নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার আদর্শনগরে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ ইত্যাদি। ১৯৭২ সাল থেকে দেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। জন্মলগ্ন থেকেই সংস্থাটি সরকারি বরাদ্দ ও নিজস্ব আয় থেকে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। পর্যটকদের কাছে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য এবং মানসম্মত অতিথি সেবার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন পথিকৃত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অর্ধ-শতাব্দির অভিজ্ঞতা এবং সময়োপযোগী কর্মোদ্যোগের মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে আগামীতেও নেতৃত্বের জায়গায় থেকে কাজ করবে মর্মে আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ৫০ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ.ম উবাইদুল মোকতাদির চৌধুরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব এ.এইচ.এম গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।