নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের কারা হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কারা হাসপাতালগুলোতে ৯৩ জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। বাকি আরও ৪৮টি পদে আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (আইজি প্রজন) এ নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৮ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেআর খান রবিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেআর খান রবিন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। কারা কর্তৃপক্ষের আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম। এর আগে গত ১ নভেম্বর আদালতে কারাবন্দিদের জন্য দেশের কারা হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক নিয়োগের পর প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন হাইকোর্ট। ওইদিন এ বিষয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানিতে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে আবার তাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন রিটকারী আইনজীবী উপস্থাপন করলে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ঠিক করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সেটি শুনানি হয়। আইনজীবী জেআর খান রবিন জানান, ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশের কারাবন্দিদের চিকিৎসার জন্য কারা হাসপাতালগুলোতে কত চিকিৎসক প্রয়োজন তা জানাতে কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে চিকিৎসক নিয়োগের বিধিমালা চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছিল। ওই নির্দেশনার পর কারা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানানো হয়, কারাগারের হাসপাতালগুলোতে মোট ২৪ জন চিকিৎসক রয়েছেন। যদিও হাসপাতাল অনুসারে চিকিৎসক প্রয়োজন ১৪১ জন। পরে বাকি ১১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এর পরপরই আরও চিকিৎসক নিয়োগ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই নিয়োগের পরে সেখানে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১২ জনে। কিন্তু এর মধ্যে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়। এরপর চিকিৎসক নিয়োগের পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কারণ জানতে চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী জেআর খান রবিন। ওই আবেদনের শুনানিতে রিটকারী আইনজীবী অভিযোগ তোলেন, কারা হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক নেই। কর্তৃপক্ষ নিয়োগ দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাহলে কারাবন্দিদের চিকিৎসার কী হবে? তখন আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন।