০৩:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ | ই-পেপার

ক্লুলেস অপরাধ চিহ্নিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা জরুরি: ডেপুটি স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, ক্লুলেস অপরাধের চিহ্নিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই জরুরি ও অত্যাবশ্যক। সাংবাদিকদের গতানুগতিক সংবাদ করলে চলবে না। ক্রাইম রিপোর্টারদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। শামসুল হক টুকু বলেন, প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে কেউ কারও দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। বাংলাদেশ দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষের নেতৃত্ব ও জনসাধারণের ভূমিকা অপরিসীম ও অতুলনীয়। ডেপুটি স্পিকার বলেন, ক্রিমিনালরা বিভিন্নভাবে তাদের অপরাধের কৌশল প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছেন। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্ষমতার ভালো পর্যায়ে আছে। এরপরও অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের বিভিন্ন ট্রেনিং-এর মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করলে জাঁতি উপকৃত হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। পুলিশ যেভাবে জীবন বাজি রেখে কাজ করে; ঠিক সেইভাবে সাংবাদিকেরাও জীবন বাজি রেখে কাজ করেন। পুলিশ ও সাংবাদিক কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তব উদাহরণ হলো ২০১৬ সালে হলি আর্টিসানের জঙ্গি হামলার পর পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির সময় যখন সবাই ঘরের মধ্যে, ঠিক তখন পুলিশ-সাংবাদিক বাহিরে থেকে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। এ সময় অনেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণও করেছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ একটা জায়গায় এসেছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ২০৪১ সালে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। আর সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে ক্র্যাব-২০২২ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন- সমকালের সাহাদাত হোসেন পরশ, ডেইলি স্টারের জামিল খান, দৈনিক বাংলার নুরুজ্জামান লাবু, ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, প্রথম আলোর নূরুল আমিন জাহাঙ্গীর ও মাছরাঙার আবু জাহেদ মুহা. সেলিম। অনুষ্ঠানে ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক (ক্র্যাব) আসাদুজ্জামান বিকু ও র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এ সময় খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাব এবং ক্র্যাব নামে যেমন সামঞ্জস্যতা রয়েছে, আমাদের কাজেও সামঞ্জস্যতা রয়েছে। আমরা ভাই হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। খন্দকার আল মঈন বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) প্রতিটি সাংবাদিক দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রান্তিকালিক সময়ে সাংবাদিকরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে। সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ক্র্যাবের বর্তমান কমিটিকে তিনি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্রান্তিকালীন সময়ে সাংবাদিকরা নির্ভীকভাবে কাজ করেছে। আমরা দেখেছি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তারা হলেন অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকরা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিংহভাগ অবদান ক্র্যাবের সাংবাদিকদের।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা

ক্লুলেস অপরাধ চিহ্নিতে সাংবাদিকদের ভূমিকা জরুরি: ডেপুটি স্পিকার

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫৮:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, ক্লুলেস অপরাধের চিহ্নিত করতে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই জরুরি ও অত্যাবশ্যক। সাংবাদিকদের গতানুগতিক সংবাদ করলে চলবে না। ক্রাইম রিপোর্টারদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন। শামসুল হক টুকু বলেন, প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে কেউ কারও দিকে আঙুল তুলতে পারবে না। বাংলাদেশ দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রতিটি শ্রেণী পেশার মানুষের নেতৃত্ব ও জনসাধারণের ভূমিকা অপরিসীম ও অতুলনীয়। ডেপুটি স্পিকার বলেন, ক্রিমিনালরা বিভিন্নভাবে তাদের অপরাধের কৌশল প্রতিনিয়ত পরিবর্তন করছেন। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্ষমতার ভালো পর্যায়ে আছে। এরপরও অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকদের বিভিন্ন ট্রেনিং-এর মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করলে জাঁতি উপকৃত হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্য অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের পরিপূরক। পুলিশ যেভাবে জীবন বাজি রেখে কাজ করে; ঠিক সেইভাবে সাংবাদিকেরাও জীবন বাজি রেখে কাজ করেন। পুলিশ ও সাংবাদিক কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বাস্তব উদাহরণ হলো ২০১৬ সালে হলি আর্টিসানের জঙ্গি হামলার পর পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকেরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির সময় যখন সবাই ঘরের মধ্যে, ঠিক তখন পুলিশ-সাংবাদিক বাহিরে থেকে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। এ সময় অনেক পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণও করেছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ একটা জায়গায় এসেছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ২০৪১ সালে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। আর সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে ক্র্যাব-২০২২ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন- সমকালের সাহাদাত হোসেন পরশ, ডেইলি স্টারের জামিল খান, দৈনিক বাংলার নুরুজ্জামান লাবু, ঢাকা পোস্টের আদনান রহমান, প্রথম আলোর নূরুল আমিন জাহাঙ্গীর ও মাছরাঙার আবু জাহেদ মুহা. সেলিম। অনুষ্ঠানে ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক (ক্র্যাব) আসাদুজ্জামান বিকু ও র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এ সময় খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাব এবং ক্র্যাব নামে যেমন সামঞ্জস্যতা রয়েছে, আমাদের কাজেও সামঞ্জস্যতা রয়েছে। আমরা ভাই হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। খন্দকার আল মঈন বলেন, বলতে দ্বিধা নেই, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) প্রতিটি সাংবাদিক দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রান্তিকালিক সময়ে সাংবাদিকরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছে। সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য ক্র্যাবের বর্তমান কমিটিকে তিনি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্রান্তিকালীন সময়ে সাংবাদিকরা নির্ভীকভাবে কাজ করেছে। আমরা দেখেছি, দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি যাদের অবদান সবচেয়ে বেশি তারা হলেন অপরাধ বিষয়ক সাংবাদিকরা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত দেশ হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিংহভাগ অবদান ক্র্যাবের সাংবাদিকদের।