নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি জন্য আগামী ২০ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ না থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এজন্য আসামির পক্ষে তার আইনজীবী সময় আবেদন করেন। কেরানীগঞ্জ কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক এ এইচ এম রুহুল ইমরান সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ মামলায় আসামি ছিলেন ১৩ জন। জামায়াতে ইসলামীর নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি আরেক আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল হক মারা গেছেন। ফলে বর্তমানে এ মামলার আসামি ১০ জন। তারা হলেনÑখালেদা জিয়া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ¦ালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশারফ হোসেন। ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।