০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের পজিশন বিক্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে দোকানের জন্য পজিশন ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. মান্নান মিয়া। আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। মো. মান্নান মিয়া বলেন, ২০০৮ সালের ১০ মার্চ ওই শপিং কমপ্লেক্সে ৫০০ স্কয়ার বর্গফুটের দুটি এবং ১০১৫ স্কয়ার ফুটের একটি অফিস করার জন্য ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের কাছ থেকে পজিশন ক্রয় করেন তিনি। এখানে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে পাওয়ার দেয়, আর এই পাওয়ারের বলে তারা পজিশন বিক্রি করে। সেই মোতাবেক ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের সঙ্গে সকল চুক্তিপত্রও সম্পন্ন করা হয়। একইসঙ্গে মাসিক ভাড়াসহ সকল সার্ভিস চার্জও ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধও করা হয়। তিনি বলেন,বর্তমানে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে যারা পরিচালনা পরিষদে আছেন, তারা আবার নতুন করে ৬০০০ টাকা বর্গ স্কয়ার ফুট করে ক্রয় এবং চুক্তিপত্রের দলিল নিতে বলছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ কোনো সদুত্তর দেয়নি। এমনকি নতুন করে চুক্তিপত্র না করলে তারা আমার অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, একটি অপরাধী চক্র ষড়যন্ত্র করে অবৈধভাবে নতুন করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। এ ছাড়া মার্কেটের বর্তমান কেয়ারটেকার কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাকে প্রতিনিয়ত মেরে ফেলাসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় আছি। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে দোকানের পজিশনের যাবতীয় চুক্তিনামাও হয়েছে জানিয়ে মান্নান মিয়া বলেন, এই কর্মকর্তা আবার নতুন করে টাকা দাবি করছে। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনিও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। একপর্যায়ে আমি পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এ ছাড়া সর্বশেষ এই চক্রমহলটি গত ১২ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আমাদের অগোচরে মার্কেটের ১০তম তলায় অবস্থিত আমার অফিস এবং ফ্যাক্টরির প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। পরে আনসারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে তারা এই তালা লাগিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমি আমার বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি এবং মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পায়নি। আমার অফিস এবং ফ্যাক্টরিতে ১৫/২০ কোটি টাকার মোবাইলের খুচরা যন্ত্রাংশ মজুত আছে। আমি ধারণা করছি, তারা আমার মালামাল সরিয়ে ফেলতে পারে। এ ছাড়া তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েও একটি জিডি করেছে। তারা ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তও করেছে। এ সময় গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মো শাহাদাত, হুমায়ন কবীর এবং মো. কবীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সমুদ্রসম্পদ আহরণের জন্য গবেষণার ওপর জোর দিতে হবে:চসিক মেয়র

গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের পজিশন বিক্রি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ

আপডেট সময়ঃ ০৬:৪৫:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে দোকানের জন্য পজিশন ক্রয় করে প্রতারণার শিকার হয়েছেন মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. মান্নান মিয়া। আজ রোববার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি। মো. মান্নান মিয়া বলেন, ২০০৮ সালের ১০ মার্চ ওই শপিং কমপ্লেক্সে ৫০০ স্কয়ার বর্গফুটের দুটি এবং ১০১৫ স্কয়ার ফুটের একটি অফিস করার জন্য ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের কাছ থেকে পজিশন ক্রয় করেন তিনি। এখানে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে পাওয়ার দেয়, আর এই পাওয়ারের বলে তারা পজিশন বিক্রি করে। সেই মোতাবেক ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের সঙ্গে সকল চুক্তিপত্রও সম্পন্ন করা হয়। একইসঙ্গে মাসিক ভাড়াসহ সকল সার্ভিস চার্জও ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধও করা হয়। তিনি বলেন,বর্তমানে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সে যারা পরিচালনা পরিষদে আছেন, তারা আবার নতুন করে ৬০০০ টাকা বর্গ স্কয়ার ফুট করে ক্রয় এবং চুক্তিপত্রের দলিল নিতে বলছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেউ কোনো সদুত্তর দেয়নি। এমনকি নতুন করে চুক্তিপত্র না করলে তারা আমার অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, একটি অপরাধী চক্র ষড়যন্ত্র করে অবৈধভাবে নতুন করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। এ ছাড়া মার্কেটের বর্তমান কেয়ারটেকার কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে আমাকে প্রতিনিয়ত মেরে ফেলাসহ নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এই অবস্থায় আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় আছি। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে দোকানের পজিশনের যাবতীয় চুক্তিনামাও হয়েছে জানিয়ে মান্নান মিয়া বলেন, এই কর্মকর্তা আবার নতুন করে টাকা দাবি করছে। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনিও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। একপর্যায়ে আমি পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এ ছাড়া সর্বশেষ এই চক্রমহলটি গত ১২ মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আমাদের অগোচরে মার্কেটের ১০তম তলায় অবস্থিত আমার অফিস এবং ফ্যাক্টরির প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। পরে আনসারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট্রের উপ-মহাব্যবস্থাপক ও প্রতিষ্ঠান প্রধান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে তারা এই তালা লাগিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমি আমার বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি এবং মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কারও কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তা পায়নি। আমার অফিস এবং ফ্যাক্টরিতে ১৫/২০ কোটি টাকার মোবাইলের খুচরা যন্ত্রাংশ মজুত আছে। আমি ধারণা করছি, তারা আমার মালামাল সরিয়ে ফেলতে পারে। এ ছাড়া তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়েও একটি জিডি করেছে। তারা ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তও করেছে। এ সময় গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মো শাহাদাত, হুমায়ন কবীর এবং মো. কবীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।