চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
চট্টগ্রামের গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী আরো একদফা বেড়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে এসব হয়রানী বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে যাত্রী অধিকার দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এই অভিযোগ করেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ‘যাত্রী হয়রানী ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ মোকতার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, লকডাউন পরবর্তী চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী আরো এক দফা বেড়েছে। এখানে শহরতলীতে বসবাস করে তারা প্রতিদিন এই নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে। এখানে সকালে এক ভাড়া, বিকেলে আরো ভাড়া, রাত হলে আরেক ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। রোধেলা দিনে এক ভাড়া, বৃষ্টি হলে আরেক ভাড়া আদায় করা হয়। অতীতে চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রতিটি উপজেলায় যাতায়াতের বাস নেটওর্য়াক ছিল। এসব নৈরাজ্যের হাত প্রসারিত করার সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমানে সব বাস নেটওর্য়াক ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, মোটর সাইকেল ও টুকটুকি এখন বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের প্রধান বাহনে পরিনত হয়েছে। এসব বাহনে আরামদায়কভাবে যাতায়াত করা যায় না। কিন্তু, ভাড়া গুনতে হয় কয়েকগুন বেশি। যত্রতত্র পার্কিং, যানজট, জলজট ও দুর্ঘটনা প্রধান হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে এসব বাহন। তিনি অনতিবিলম্বে এসব ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে মানসম্মত ৪০০ নতুন বাস নামানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক জননেতা খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ন্যায্য ভাড়ায় সঠিক সময়ে দুর্ঘটনামুক্তভাবে যাতায়াতের অন্যতম অধিকার। তিনি যানবাহনের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, শ্রেণি বৈষম্য এবং রাস্তাঘাটে নির্বিঘœ চলাচলে আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতায় যাত্রী অধিকার ভুলণ্ঠিত হচ্ছে অভিযোগ করেন। তিনি বিআরটিএর অনিয়ম দুর্নীতি ও ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতায় সড়কে যানজট, জনজট, ফুটপাত বেদখল সহ নানা হয়রানীর চিত্র তুলে ধরেন। চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: ইমতিয়াজ আহমেদ’র সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বারভিডার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পরিবেশবিদ ড. ইদ্রিস আলী, যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: রাজা মিয়া, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নুরুল আমিন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর।