• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ
আইনের অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই: আইনমন্ত্রী তীব্র শিক্ষক সঙ্কট নিয়েই চলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন স্পিকার একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ৮ দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের স্বামীর স্থায়ী ঠিকানায় বদলির আদেশ বহাল দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর রোয়াংছড়ি উপজেলার কুকি চীন সন্ত্রাসী বাহিনীরা রাস্তার ক্ষয়ক্ষতির গ্রস্তে সেনা পরিদর্শন করেন ১৬ আন্তঃনগর ট্রেনে যুক্ত হলো পণ্যবাহী নতুন লাগেজ ভ্যান জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান মির্জা ফখরুলকে আর ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না: মেয়র তাপস

চট্টগ্রামে জিল্লু ভান্ডারি হত্যায় ২ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

Reporter Name / ৬৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার আলোচিত জিল্লু ভান্ডারি হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদ- এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- শহিদুল ইসলাম খোকন এবং ইসমাইল ওরফে পিস্তল ইসমাইল। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- আবু ওরফে ধামা আবু, কামাল, জসিম উদ্দিন, তোতা মিয়া, নাছির, সুমন ওরফে সিএনজি সুমন। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাব উদ্দিন ওরফে সাফু, আজিম, নাজিম, রমিজ উদ্দিন ওরফে রঞ্জু ও জাহাঙ্গীর। বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, মামলাটি দ্রুত শেষ করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ছিল। এই মামলায় ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- শহিদুল ইসলাম খোকন, রমিজ উদ্দিন ওরফে রঞ্জু, শাহাব উদ্দিন ওরফে সাফু, আজিম ও নাজিম। এদের মধ্যে খোকনকে মৃত্যুদ- এবং বাকি চারজনকে খালাস দেন আদালত। তবে সাজাপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা পলাতক। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে জিল্লুর ভান্ডারিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১৯ সালের ২৮ মে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। এরপর নানা বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গতকাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হলো। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, মামলাটি নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হায়দার আলী আকন মৃত্যুদ- পাওয়া দুই আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। পরে আমরা আদালতে নারাজি দেই। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সাজার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category