ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রামে জিল্লু ভান্ডারি হত্যায় ২ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার আলোচিত জিল্লু ভান্ডারি হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদ- এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- শহিদুল ইসলাম খোকন এবং ইসমাইল ওরফে পিস্তল ইসমাইল। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- আবু ওরফে ধামা আবু, কামাল, জসিম উদ্দিন, তোতা মিয়া, নাছির, সুমন ওরফে সিএনজি সুমন। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাব উদ্দিন ওরফে সাফু, আজিম, নাজিম, রমিজ উদ্দিন ওরফে রঞ্জু ও জাহাঙ্গীর। বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, মামলাটি দ্রুত শেষ করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ছিল। এই মামলায় ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- শহিদুল ইসলাম খোকন, রমিজ উদ্দিন ওরফে রঞ্জু, শাহাব উদ্দিন ওরফে সাফু, আজিম ও নাজিম। এদের মধ্যে খোকনকে মৃত্যুদ- এবং বাকি চারজনকে খালাস দেন আদালত। তবে সাজাপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা পলাতক। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে জিল্লুর ভান্ডারিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১৯ সালের ২৮ মে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। এরপর নানা বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গতকাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হলো। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, মামলাটি নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হায়দার আলী আকন মৃত্যুদ- পাওয়া দুই আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। পরে আমরা আদালতে নারাজি দেই। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সাজার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে কৃষকের লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে

চট্টগ্রামে জিল্লু ভান্ডারি হত্যায় ২ জনের ফাঁসি, ৬ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময়ঃ ০৮:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার আলোচিত জিল্লু ভান্ডারি হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদ- এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ ছামিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন- শহিদুল ইসলাম খোকন এবং ইসমাইল ওরফে পিস্তল ইসমাইল। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- আবু ওরফে ধামা আবু, কামাল, জসিম উদ্দিন, তোতা মিয়া, নাছির, সুমন ওরফে সিএনজি সুমন। আর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শাহাব উদ্দিন ওরফে সাফু, আজিম, নাজিম, রমিজ উদ্দিন ওরফে রঞ্জু ও জাহাঙ্গীর। বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত আইনজীবী লোকমান হোসেন চৌধুরী বলেন, মামলাটি দ্রুত শেষ করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা ছিল। এই মামলায় ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- শহিদুল ইসলাম খোকন, রমিজ উদ্দিন ওরফে রঞ্জু, শাহাব উদ্দিন ওরফে সাফু, আজিম ও নাজিম। এদের মধ্যে খোকনকে মৃত্যুদ- এবং বাকি চারজনকে খালাস দেন আদালত। তবে সাজাপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা পলাতক। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২১ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে জিল্লুর ভান্ডারিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১৯ সালের ২৮ মে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। এরপর নানা বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে গতকাল মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করা হলো। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, মামলাটি নিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। এটির প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হায়দার আলী আকন মৃত্যুদ- পাওয়া দুই আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন। পরে আমরা আদালতে নারাজি দেই। আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি সিআইডিকে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামি কারাগারে রয়েছেন। বাকিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে সাজার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।