নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের পরিমাণ বেড়েছে। নানা খাত থেকে চট্টগ্রাম বন্দর আয় করে থাকে। বন্দরের আয়ের উৎসগুলো মূলত বার্থ, জেটি ভাড়া, কি গ্যান্ট্রি ক্রেন (কিউজিসি) চার্জ, ক্রেন চার্জ, পোর্ট ডিউস, বার্থিং আনবার্থিং, পাইলটিং ফি, টাগবোট ভাড়া, জাহাজে পানি সরবরাহ, কার্গো ল্যান্ডিং চার্জ, শিপিং চার্জ, রিমোভাল চার্জ, স্টোরেজ চার্জ, টার্মিনাল চার্জ, স্টাফিং-আনস্টাফিং চার্জ, ইলেকট্রিক চার্জ, এফডিআর খাতে আয়, বন্দরের জায়গা ও স্থাপনার ভাড়া ইত্যাদি। চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চট্টগ্রাম বন্দর ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা আয় করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৫১৫ কোটি টাকা বেশি। আর ২০২০-২১ সালে বন্দরের মোট আয় ছিল ৩ হাজার ৭০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। তবে ভ্যাট, কর, উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, হোল্ডিং ট্যাক্স ইত্যাদি বাদ দিয়ে ২০২১-২২ সালে বন্দরের নিট আয় হয় ১ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। আগের বছর তার পরিমাণ ছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে গত বছর বন্দরের নিট আয়ের পরিমাণ ৩৭৭ কোটি টাকা বেড়েছে।
সূত্র জানায়, বন্দরের আয় থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে উন্নয়ন খাতে প্রায় ১ হাজার ৫৭৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সরকারকে রাজস্ব দেয়া হয়েছে প্রায় ৫৭৬ কোটি টাকা। হোল্ডিং ট্যাক্স দেয়া হয়েছে ৪২ কোটি টাকা। আর বেতন-ভাতা খাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৮০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দরে ২০২১-২২ বছরে ৩২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৮ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। আগের বছরে ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৩ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছিল। গত বছরে ১১ কোটি ৮১ লাখ ৭৪ হাজার ১৬০ মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে। ওই সময় বন্দরে ৪ হাজার ২৩১টি জাহাজ ভিড়েছে। কনটেইনার হ্যান্ডলিংকারী বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর আগের বছরের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়েছে। কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বার্ষিক গড়ে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। তাছাড়া আইএসপিএস কোড বাস্তবায়নেও সন্তোষজনক অবস্থানে আছে চট্টগ্রাম বন্দর।