নিজস্ব প্রতিবেদক :
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, গত এক দশকে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩০০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ ও ভারত থেকে ১২০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রাজস্ব বাজেট থেকে এরইমধ্যে ১০০টি যাত্রীবাহী কোচ পুনর্বাসন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০টি পুরাতন ক্যারেজ পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান। আজ মঙ্গলবার সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়। মন্ত্রী বলেন, রেলওয়ে একটি নিরাপদ, আরামদায়ক ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে সড়ক পথে যানজট থাকায় যাত্রীদের কাছে রেলওয়ের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে। বর্তমান আধুনিক বিশ্বের রেলওয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, যাত্রী-সাধারণের সুবিধার্থে নতুন কোচগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যেমনÑআধুনিক টয়লেট, ওয়াশিং বেসিন, স্লাইডিং দরজা, টিভি মনিটর, পরিবেশবান্ধব বায়োটয়লেট, শারীরিকভাবে অক্ষম যাত্রীদের জন্য বিশেষ ধরনের টয়লেট, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার ও স্লিপার কোচের সংস্থান রয়েছে। এ ছাড়া কোচগুলোতে আরামদায়ক ভ্রমণ সহায়ক উন্নতমানের বগি সংযোজন করা হয়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন হতে যথাক্রমে ১৫০টি মিটারগেজ ও ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ সংগ্রহের প্রকল্প চলমান আছে। তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নে ২০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী ও টেন্ডারার্স ফাইন্যান্সিংয়ের আওতায় ২০০টি মিটারগেজ কোচ কেনা হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে কোচগুলোর সরবরাহ পাওয়া যাবে। কোচগুলোতে আরও কিছু নতুন আইটেম যেমনÑউন্নতমানের স্লাইডিং ডোর, পরিবেশবান্ধব আধুনিক বায়োটয়লেট, কোচের অভ্যন্তরে ইলেক্ট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড, সিসি ক্যামেরা, উন্নতমানের সিট সংযোজন করা হবে। রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলসংযোগ চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও পর্যটকদের আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে। বাংলাদেশ রেলওয়ের পুরাতন ও আয়ুষ্কাল উত্তীর্ণ কোচগুলো রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ধীরে ধীরে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে রেলের কোচ যাত্রী-সাধারণের জন্য আরামদায়ক হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।