মো.মাইন উদ্দীন, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :
ঘাটে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাট থেকে দক্ষিণ পাড়ের যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়ে ধর্মঘট করছেন সাম্পান মাঝিরা। হঠাৎ করে সাম্পান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঘাট দিয়ে পারাপার হওয়া পোশাক শ্রমিক, সবজি চাষী ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই নৌপথে প্রতিদিন পারাপার করেন প্রায় ৩ হাজার যাত্রী। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন(চসিক) কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঘাটে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সকাল থেকে সারাদিন সাম্পান পরিচালনা বন্ধ রাখেন মাঝিরা। এ বিষয়ে ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি মো. লোকমান বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ঘাট ইজারা না দিয়ে বাড়তি খাস আদায় করছে। এটি বন্ধ করার জন্য সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয়ার পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করার জন্য আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। এটার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’ কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার সাম্পান কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা আলীউর রহমান জানান, এ বিষয়ে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো সুরাহা না মেলায় ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সাম্পান মাঝিরা।
তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন কর্ণফুলী নদীর ঘাটগুলো ইজারা দেয়। নদীর সাম্পান মাঝিরা পাটনিজীবী নীতিমালা অনুযায়ী ঘাটগুলো ইজারা নেন। তারা ঘাটে প্রতি জনের কাছ থেকে এক থেকে দুই টাকা পর্যন্ত খাস আদায় করে সিটি করপোরেশনকে দিয়ে থাকে। কিন্তু এই ঘাটটি সিটি করপোরেশন কয়েক দফা দরপত্র আহ্বান করেও ইজারা দেয়নি।’
‘নিয়ম অনুযায়ী ঘাট ইজারা না হলে সিটি করপোরেশনের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যাত্রীদের কাছ থেকে ঘাটের খাস আদায় করবেন। কিন্তু এখানে স্থানীয় হারুন দোভাষ নামে একজনকে সিটি করপোরেশন দায়িত্ব দিয়েছে। তারা যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে লোকজনের কাছ থেকে খাস আদায় করছেন। কিছু তারা সিটি করপোরেশনকে দিচ্ছেন। আর কিছু নিজেরা লুটপাট করছেন।’— বলেন আলীউর রহমান।