নিজস্ব প্রতিবেদক :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিভিন্ন সময় পুলিশ ফিটনেসবিহীন গাড়ি চেক করার জন্য সড়কে থামায়। গাড়িতে অবৈধ কিছু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে- এমন মনে করলে পুলিশ গাড়ি থামায়। এটি কোনো চাঁদাবাজির অংশ নয়, নিয়মিত চেকিংয়ের বিষয়। তিনি বলেন, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে, পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতারাও চাঁদাবাজির বিষয়ে খেয়াল রাখছেন। আমরা আশা করি, এবার ঈদুল আজহায় চাঁদাবাজি অনেক কম দেখব। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হাইওয়ে পুলিশের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, মহাসড়কে চাঁদাবাজি এখনো আমরা অ্যাল্যাউ করি না। পরিবহন সেক্টরের নেতারা আমাদের কাছে একটি তালিকা দিয়ে দেন, কোন স্টেশনে কত টাকা সার্ভিস চার্জ দেবেন। এর বাইরে গেলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যেতে বলা হয়। আমরা সেই তালিকায় প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তিনি বলেন, আমরা মনে করি তাদের সার্ভিস চার্জ নির্দিষ্ট স্থান থেকে নেওয়া হোক। নির্দিষ্ট স্থান থেকে না নেওয়ায় পুলিশ বিড়ম্বনার শিকার হয়। অনেকে মনে করেন চাঁদাবাজি হচ্ছে। এর আগে, আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল কাজ হলো সড়ক নিরাপদ রাখা। মানুষের শরীরে যদি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তবে মানুষ বিকল হয়ে পড়বে। তেমনি সড়কে যদি পরিবহন ঠিকভাবে চলে, তাহলেই ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকবে। নৌপথে নিরাপত্তা জন্য তৈরি করা হয়েছে নৌ পুলিশ, হাইওয়ে নিরাপদ রাখতে হাইওয়ে পুলিশ তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আমি মনে করি, সবাই যদি আইন মেনে চলে, তবে কাউকে আর জরিমানা দিতে হবে না। তিনি বলেন, আমরা মহাসড়কে নসিমন-করিমন চলাচলের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা চাই অবৈধ কোনো যান যাতে মহাসড়কে না আসে। মহাসড়ক যাতে নিরাপদ থাকে, সেজন্য আমরা কাজ করছি। আমাদের হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। এমপি আনার সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কলকাতায় খুন হওয়া সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা আমরা কখনোই বলিনি। এমপি আনারের হত্যাকা-ের পর বিভিন্ন সময় বলা হয়েছিল তিনি চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত- আপনারা কী মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এমপি আনার, তা আমরা কখনোই বলিনি। তিনি বলেন, সব সময় বলে এসেছি ঝিনাইদহ সন্ত্রাসপূর্ণ একটি এলাকা। ওখানে সত্যিকারে কী হয়েছে সেটা আমাদের জানতে হবে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তের পরে আপনাদের সবকিছু জানাবো। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে ডরিন সন্দেহভাজনদের নাম বলেছেন। কাদের নাম বলেছেন তিনি এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যখন তদন্ত চলে তখন আমাদের মন্ত্রী, আইজিপি কিংবা তদন্তকারী কর্মকর্তাদের তদন্ত না করে কোনো কিছু বলা সম্ভব না। আমরা মনে করি তদন্ত শেষ হলে এগুলো নিয়ে কথা বলবো। বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ সদস্যের নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই বাহিনীর সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের ট্রেনিংয়ের সময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে কয়েকদিন ট্রেনিং দেওয়া হয়। যাতে তাদের মেন্টাল স্ট্রেস কম থাকে। গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার কারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী হবে সেটা নিয়ে আইজিপি রিসার্চ করছেন বলেও জানান মন্ত্রী।