নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটির শেষ দিন গতকাল শনিবার । শেষ মুহূর্তে কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলে ফেরার জন্য রাজধানীমুখী হন। ঈদের পর থেকেই রাজধানীতে ফেরার ঢল শুরু হলেও আজ শনিবার যাত্রীচাপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। রাজধানীর গাবতলীসহ বিভিন্ন আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে দেখা গেছে ফেরতযাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা যাত্রীরা বলছেন, পুরো সড়কে খুব বেশি না হলেও তাদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে যমুনা সেতুতে। রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কর্মস্থলে ফিরতে আসা মানুষ বাস থেকে দল বেঁধে নামছেন। কিছু সময় পরপর বিভিন্ন জেলা থেকে বাস এসে পৌঁছাচ্ছে। দিনাজপুর থেকে ঢাকায় ফেরা বেসরকারি চাকরিজীবী আবু ইবনুল আজিজ জানান, ‘আজ ছুটির শেষ দিন। সকাল ৮টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও এসেছি সাড়ে ১২টায়। যমুনা সেতুতে ৪-৫ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়েছে। চার লেনের গাড়ি এসে দুই লেনে আটকে যাচ্ছে, বাসগুলো নিয়ম মানছে না। ফলে সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। তার ওপর তীব্র গরমে যাত্রা আরও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।’ একই রুটে যাত্রা করেছেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার নাইব হাসান নিয়ম। তিনি বলেন, ‘আমার অফিস শুরু সোমবার, তাই একদিন আগেই ফিরছি। আগেও ঈদে বাড়ি গিয়েছি, কিন্তু যমুনা সেতুতে এত ভোগান্তি কখনও হয়নি। টোল প্লাজায় ৪-৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। সরকারের উচিত এ বিষয়ে নজর দেওয়া, তাহলে আমাদের মূল্যবান কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না।’ অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা পোশাক শ্রমিক ইমন আলী বলেন, ‘আগামীকাল থেকে অফিস, তাই আজই ফিরেছি। দীর্ঘ ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছি। তবে ফেরার পথে তেমন কোনো সমস্যায় পড়িনি।’ এদিকে ঈদের সময় ছুটি না পাওয়া কিছু মানুষ এখনও পরিবারের কাছে যাচ্ছেন। তাদেরই একজন বাসচালক মো. আলমাস। তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় ছুটি পাইনি, ডিউটি করতে হয়েছে। এখন ছুটি পেয়েছি, তাই বাড়ি যাচ্ছি। আমার বাড়ি মাদারীপুর।’ রংপুরগামী ডিপজল এন্টারপ্রাইজের চালক মো. মাসুদ বিশ^াস বলেন, ‘এখন যাত্রী কম, তাই শুধু গাড়ি চালু রাখার জন্যই যাত্রী নিয়ে যাচ্ছি। ফিরতি পথে বাস ফুল হয়েই আসছে।’ গাবতলীর কোটালীপাড়া স্টার এক্সপ্রেসের কাউন্টার মাস্টার আল মাসুদ বিন বাপ্পী বলেন, এবার কোরবানির ঈদে ভালোসংখ্যক যাত্রী পেয়েছি। সময়মতো যাত্রীদের পৌঁছাতে পেরেছি। রোজার ঈদের তুলনায় এবার যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। আজ (শনিবার) ছুটি শেষ হচ্ছে, ফলে ফিরতি যাত্রায় বাসগুলো সিটভর্তি যাত্রী নিয়েই ঢাকায় আসছে। তবে এখনও কিছু মানুষ ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন, সংখ্যাটা কম-প্রতিটি বাসে ১২-২০ জন করে যাত্রী হচ্ছে। উল্লেখ্য, ঈদযাত্রার শুরুতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কয়েকগুণ যানবাহনের চাপ দেখা দেয়। গত ৪ জুন মধ্যরাত থেকে এ সড়কে যানজট শুরু হয়। ৫ জুন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়, যার ফলে ঘরমুখো মানুষ পড়েন চরম দুর্ভোগে।
সর্বশেষঃ
ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষের ঢল, পথে ভোগান্তি
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ০৯:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
- ৩০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ