নিজস্ব প্রতিবেদক :
গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করা রিট আবেদন শুনতে অপারগতা জানিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানিতে এ অপারগতা জানান। এদিন আদালতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. ফখরুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদা ইয়াসমিন। পরে ব্যারিস্টার ফখরুল বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসেছিলেন, ১৯৮৯ সাল থেকে চলে আসা তাদের সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর আবেদন নিয়ে। সেখানে স্বাধীনতার স্থপতি ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় স্থান নির্ধারণ ও নামকরণ করেছিলেন। তিনি তখনকার সময়ে মেডিকেল ও হাসাপাতালের জমি বরাদ্দেরও ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি বলেন, আগে গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজে ১১০ শিক্ষার্থীর ভর্তির অনুমতি ছিল। ২০২১ সালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় ৫০ শিক্ষার্থীর বেশি ভর্তি করা যাবে না। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছিলাম। তখন মাত্র ১০ জন বাড়ানো হয়। ১১০ জনের জায়গায় ৬০ জন ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়। এ আইনজীবী বলেন, ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রিট মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। তখন আদালত বলেন, যেহেতু জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেব আমাদের বেঞ্চের প্রশংসা করেছেন, তাই এ রিট মামলা অন্য বেঞ্চে হওয়াই ভালো। যদি আমাদের বেঞ্চ থেকে একটি অর্ডার হয়, তাহলে অন্য কেউ বিরূপ মন্তব্য করতে পারেন। তাই আপনারা রিটটি অন্য বেঞ্চে শুনানি করেন। গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের প্রশংসা করেন। ওইদিন ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সম্প্রতি একটি খুনের মামলায় দুই বিচারপতি বাংলাতে রায় দিয়েছেন। তাদের অভিনন্দন। একইভাবে যখন পরীমণিকে হয়রানি করা হচ্ছিল, তারা (দুই বিচারপতি) প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। আমাদের যে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে গুণী ও সজ্জন বিচারপতি হলেন বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম। সবচেয়ে খারাপ হচ্ছেন এ বি এম খায়রুল হক।