নিজস্ব প্রতিবেদক :
রেলের নতুন ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ ঝুলে আছে। কারখানা নির্মাণ প্রকল্পটি এখনো সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি প্রকল্পের কাজ চলমান। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ভেতরে আরেকটি ক্যারেজ কারখানা স্থাপন এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। মূলত রেলওয়ে কারখানার জনবল সংকট প্রবল আকার ধারণ করলেও নতুন লোক নিয়োগ না করায় কাজে কোনো গতি আসছে না। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ১৮৭০ সালে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানাটি স্থাপন করা হয়। ওই কারখানার সক্ষমতা বাড়াতে দেশেই রেলের ক্যারেজ বা বগি তৈরির জন্য কারখানা স্থাপনের জন্য সরকার ২০১৬ সালে ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। দুই বছর ধরে সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ক্যারেজ কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কশপের জন্য নির্ধারিত স্থানে সাইনবোর্ডও বসানো হয়। কিন্তু তারপর থেকেই প্রকল্পটি ঝুলে আছে।
সূত্র জানায়, একসময় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় নতুন বগি বা কোচ তৈরি হতো। কিন্তু ১৯৯৩ সালে তৎকালীন সরকার রেল সংকোচন নীতির আওতায় ওই কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তার পর থেকে আমদানি করতে হচ্ছে বগি। আর আমদানি-নির্ভরতা কমাতে সরকার সৈয়দপুরে একটি নতুন কোচ কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সমীক্ষা অনুযায়ী সৈয়দপুর কারখানার উত্তর পাশে দার্জিলিং গেটসংলগ্ন এলাকায় কোচ তৈরির কারখানা স্থাপনে জায়গা নির্বাচন করা হয়। সেজন্য প্রাথমিকভাবে রেলের ২০ একর জমি নেয়ায় নতুন করে জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি। কারখানাটির জন্য সরকার প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বাকি টাকা ঋণের জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। কিন্তু বরাদ্দের ওই টাকা ও ঋণ না পাওয়ায় কাজের কোনো অগ্রগতি নেই।
এদিকে ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ ঝুলে যাওয়া প্রসঙ্গে রেলওয়ে সংশ্লিষ্টদের মতে, এমনিতেই জনবলের সংকটে দেশের বৃহত্তম রেলওয়ে কারখানা ধুঁকে ধুঁকে চলছে। তবে কোচ তৈরির নতুন কারখানা স্থাপনের খবরে রেল কর্মচারীদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছিল। ভাবা হচ্ছিল সেখানে অনেকের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও কাজ শুরু না হওয়ায় রেল সংশ্লিষ্টরা হতাশ।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমান জানান, প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে শিগগিরই প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে। কারখানাটি স্থাপন হলে আর বগি আমদানি করার প্রয়োজন হবে না। তাতে রাষ্ট্রের অর্থের সাশ্রয় হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার জানান, প্রকল্পটির ভৌত কাঠামোর সমীক্ষা প্রতিবেদন গত ১০ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের প্ল্যানিং কমিশনে (পিএলসি) পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় আগামী অর্থবছরে কোচ কারখানার কাজ শুরু হবে।
সর্বশেষঃ
ঝুলে আছে রেলের নতুন ক্যারেজ কারখানা নির্মাণ
-
দৈনিক আইন বার্তা
- আপডেট সময়ঃ ০৮:৩১:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২
- ১৬০ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ