০৩:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফুদার বিচার শুরু

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৭:৩১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২
  • ১৮৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআনকে অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফাত উল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,গত বছরের ২৩ নভেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গতকাল বুধবার মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৪ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপপরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি সেফাত উল্লাহ সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে একাধিক ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হলো। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাত উল্লাহ সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন। তিনি কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র ইসলামি বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এছাড়া তিনি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের কারাদ-

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফুদার বিচার শুরু

আপডেট সময়ঃ ০৭:৩১:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে পবিত্র কোরআনকে অবমাননার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সেফাত উল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,গত বছরের ২৩ নভেম্বর সেফুদার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। গতকাল বুধবার মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার বাদী সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৪ জুলাই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস সামস জগলুল হোসেন প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সেফুদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপপরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী সেফাত উল্লাহ সেফুদার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামি সেফাত উল্লাহ সেফুদা অনলাইনে একাধিকবার বিভিন্নভাবে একাধিক ভিডিও আপলোড করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও আক্রমণাত্মক অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ এবং একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি করেছেন। ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারার অপরাধের শামিল। তাই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হলো। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আলীম আল রাজী (জীবন)। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল বাদী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখতে পান যে, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা প্রবাসী সেফাত উল্লাহ সেফুদা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বাজে কথা বলছেন। তিনি কোরআনকে অবমাননা করছেন, যা সমগ্র ইসলামি বিশ্বকে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। লাইভটি ভাইরাল হওয়ায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এছাড়া তিনি একইভাবে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন সময় লাইভে এসে কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়েও কটূক্তি করেছেন।