নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডিসেম্বর মাস থেকে ধাপে ধাপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ-সংক্রান্ত সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ওপিডি ল্যাব সার্ভিস, মা ও শিশু কেন্দ্র চালু হবে। পর্যায়ক্রমে কিডনি, হেপাটবিলারি, গ্যাস্টোএন্টালজিসহ সব বিভাগ চালু করে দেওয়া হবে। আমরা উদ্বোধনের পরপরই হাসপাতাল চালু করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আসতে দেরি হয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতি এখনও আমাদের কাছে পৌঁছায়নি। এখন করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে, বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মানুষ স্বাভাবিক জীবন যাপনের চেষ্টা করছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যেই সব বিভাগ চালু করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই না এ প্রতিষ্ঠানে কাজ দেরিতে শুরু হোক। আধুনিক এসব যন্ত্রপাতি পরিচালনা করতে দক্ষ লোকের প্রয়োজন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে লোক তৈরিতে কিছুটা সময় লাগবে। এ অবস্থায় প্রয়োজনে বাইরে থেকে লোক এনে চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার কাছে একাধিকবার জিজ্ঞেস করেছেন হাসপাতাল চালু হতে দেরি হচ্ছে কেন? আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি দ্রুতই হাসপাতালটি চালু হবে। তিনি নিয়মিত খোঁজ রাখছেন। একই সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, উদ্বোধনের পরই আমরা চালু করতে চেয়েছিলাম। কিছু যন্ত্রপাতির ঘাটতি থাকায় চালু করতে পারিনি। ১৫ ডিসেম্বরের আগে তারা সব দিতে পারছে না। এ ছাড়া আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। গতমাসে আমরা সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম। সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল হাসপাতালের সঙ্গে আমাদের সমাঝোতা সই হয়েছে। তারা আমাদের চিকিৎসক-নার্সকে প্রশিক্ষণ দেবে। এরইমধ্যে কোরিয়া থেকে ১৬০ জন চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা বাংলাদেশে অবস্থান করেও আগামী দুই বছর আমাদের জনবলকে প্রশিক্ষণ দেবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় জনবলের তালিকা করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আমরা চিকিৎসকদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। ৫০০ করে নার্স ও টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিতে হবে। সেটার কাজ চলমান আছে। ওয়ার্ড বয়, আয়া ও আনসার সদস্যদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শাখার উপ-উপাচার্য, হাসপাতাল শাখার পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।