নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে তথ্যের অবাধপ্রবাহ নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, বর্তমান সরকারের সময় সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া অবাধস্বাধীনতা ভোগ করছে এবং নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশের লক্ষ্যে সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমবান্ধব সরকারের উদার সম্প্রচার নীতিমালার কারণে বর্তমানে বেসরকারি খাতে ৪৬টি টেলিভিশন, ২২টি এফএম রেডিও ও ৩৩টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১০৮ অনলাইন নিউজ পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১০৮ দৈনিক পত্রিকার অনলাইন পোর্টালকে নিবন্ধন সনদ দেওয়া হয়েছে, আরও ৪৬টির নিবন্ধন দেওয়ার কাজ চলছে। সরকারি দলের হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আবাসিক শ্রেণিতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। সরকারি দলের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, দেশে বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা দৈনিক প্রায় তিন হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশীয় গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক উৎপাদন দুই হাজার ৪৩২ মিলিয়ন ঘনফুট এবং এলএনজি আমদানির সক্ষমতা দৈনিক এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের সমতুল্য। এরমধ্যে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দৈনিক ৮২৫ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে দেশে খনিজতেলের চাহিদা ছিল প্রায় ৩৫.৭৩ লাখ মেট্রিক টন। বর্তমানে চহিদা প্রায় ৬৩ মেট্রিন টন। এ চাহিদার বিপরীতে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন রিফাইনারির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৪ লাখ মেট্রিক টন। এ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে চার থেকে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন জ¦ালানি পাওয়া যায়। জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারিভাবে একটি ও বেসরিকারিভাবে স্থাপিত ৬১টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৭৮টি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট রয়েছে। সরকারি দলের আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন জানান, অতিরিক্ত বরাদ্দসহ বর্তমানে দেশে সারের চাহিদা ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ১০০ টন। চলতি অর্থবছরে দেশের সার কারখানায় বার্ষিক সাড়ে নয় লাখ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে গত ১৮ জুন পর্যন্ত ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮৯ টন সার উৎপাদন হয়েছে। বিদেশ থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করা হয়।