নিজস্ব প্রতিবেদক :
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশ এখন তারুণ্যের রাষ্ট্র। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যখন কর্মক্ষম জনসংখ্যার অভাবে ভুগছে, তখন তরুণ প্রজন্মের জন্য বাংলাদেশে সুযোগের দরজা খুলে গেছে। আজ শনিবার ঢাকায় মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে ‘নিজের বলার মতো একটা গল্প’ ফাউন্ডেশন আয়োজিত উদ্যোক্তা মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, পপুলেশন ডিভিডেন্ট বাংলাদেশের জন্য বড় সুযোগ। সুযোগ ও পরিবেশ পেলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম। আমরা সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযুক্তির সম্প্রসারণের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক নির্মাণ করছি। প্রযুক্তির এ মহাসড়ক ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি বাণিজ্য সংগঠন ও সামাজিক সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। শিল্প, বাণিজ্য, শিক্ষাসহ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের জীবন-যাপন এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটাল সংযুক্তি ও যথাযথ ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করতে আমরা মহাপরিকল্পনা নিয়েছি। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও দেশের প্রতিটি গ্রামে এমনকি বাড়ি বাড়ি উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি ডিজিটাল জাঁতি গঠনে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ডিজিটাল দক্ষতা না থাকলে আগামীর দুনিয়ায় বসবাস করা যাবে না। নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সোনার মানুষ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আমাদের ছেলেরা মাত্র তিন মাসের প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা যুদ্ধ করে তোমাদের জন্য যে বাংলাদেশ তৈরি করেছি, তোমাদের উচিত সে দেশকেই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া। অনুষ্ঠানে নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল বাহার জাহিদ উদ্যোক্তা তৈরিতে সংগঠনের কর্মকা- মন্ত্রীকে জানান। এ সময় আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক প্রমুখ বক্তৃতা দেন। পরে মন্ত্রী ঢাকায় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগ আয়োজিত কম্পিউটিং অ্যাডভান্সমেন্ট শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।