স্পোর্টস ডেস্ক:
কানপুর টেস্টে বৃষ্টি শঙ্কা আগেই ছিল। প্রথম দু’দিনের খেলায় যে বাধা হবে প্রকৃতি, পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। হয়েছেও তাই, প্রথম দিন খেলা মাঠে গড়ালেও বৃষ্টির পেটেই যায় বেশিভাগ সময়। আর দ্বিতীয় দিন তো খেলা মাঠেই গড়ায়নি।
প্রথম দিনের খেলা শেষ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে। বৈরী আবহাওয়ায় খেলা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের এক তৃতীয়াংশ থেকে একটু বেশি সময়। ওভারের হিসাবে যা মাত্র ৩৫ ওভার।
দ্বিতীয় দিনে শনিবার সাকিব-রোহিতরা মাঠে আসেন ঠিকই, তবে মাঠে নামা আর হয়নি। দ্রুতই ফিরে যান হোটেলে। সেখানে বসেই দিন কাটিয়েছেন বৃষ্টি বিলাসে। মাঠে না নামায় সেই ৩৫ ওভারেই আটকে আছে খেলা।
তবে শুক্রবার যতটা সময় খেলা হয়েছে, খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। দিনের খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান তুলতে পারে টাইগাররা। জাকির, সাদমানের সাথে হারিয়েছে অধিনায়ক শান্তর উইকেটও।
তবে আশার আলো হয়ে মুমিনুল হক এখনো আছেন মাঠে, সাথে আছেন মুশফিক। মুমিনুল ৪০ ও মুশফিক ৬ রান নিয়ে আজ রোববার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
নতুন দিনে তাই তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে সমর্থকেরা। দিনের শুরুতে ভালো একটা ভীত সবার চাওয়া।
বাংলাদেশের জন্য এই টেস্টটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত সিরিজের প্রথম ম্যাচে চেন্নাই টেস্টে হেরে যাওয়ায় সিরিজ বাঁচাতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই। যে করেই হোক জিততে হবে এই ম্যাচ। ড্র করলেও অবশ্য হবে ইতিহাস।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার হঠাৎ সাকিব আল হাসান অবসরে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ায় এই ম্যাচটা হতে পারে তার শেষ টেস্ট। যদিও সাকিব চান দেশের মাটিতে আরো একটা টেস্ট খেলতে। তবে সেটা কতটা সম্ভব, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
আর যদি তাই হয়, তবে কানপুর টেস্টই হতে যাচ্ছে সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। তা না হলেও অন্তত বিদেশের মাটিতে যে শেষবার সাদা পোশাকে মাঠে নামছেন সাকিব, তা তো নিঃসন্দেহে।
ফলে সাকিবকে বিদায় বেলায় স্মরণীয় একটা জয় উপহার দিতে মুখিয়ে থাকবেন মুশফিকরা। যদিও তা মোটেও সহজ হবে না। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানো, সে তো অনেক বড় স্বপ্নের কথা। তবুও সেই অসাধ্য সাধন করতে চাইবে বাংলাদেশ।
যেখানে বড় অবদান রাখবে প্রথম ইনিংসে। যেখানে বাংলাদেশ ভালো কিছু করতে চায়। খেলা শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান নিজেই বলে গেছেন সেই কথা। দিয়েছেন ভালো করার রূপরেখাও।
https://slotbet.online/