• বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার

থানায় পড়ে থাকা মালামালের বিষয়ে আইজিপিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

Reporter Name / ৮০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামাল কীভাবে রাখা হয়েছে বা কীভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে তার বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৬ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।একই সঙ্গে জব্দ করা মালামাল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করা কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ও ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। থানা বা আদালতে জব্দ করা মালামালের যথাযথ ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। এর আগে গত রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের ৫ আইনজীবীর পক্ষে রিট দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির। রিট করা পাঁচ আইনজীবী হলেন- মোহাম্মদ নোয়াব আলী, মো. মুজাহেদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও ইমরুল কায়েস। মালখানা ব্যবস্থাপনায় সরকারের অবহেলা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির প্রার্থনা করা হয় রিট আবেদনে। একই সঙ্গে মালখানায় পড়ে থাকা এসব মালামালের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়। রিটের পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকাসহ দেশের সব আদালত এবং থানা এলাকায় জব্দ করা মালামাল আমরা দেখি বছরের পর বছর পড়ে থাকে। জব্দ করা মালামাল নিয়ে এমন অব্যবস্থাপনা সারা দুনিয়ার আর কোথাও আমরা দেখিনি। বিষয়টি দেখে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু নোটিশ পাওয়ার পরও তাদের কোনো জবাব আসেনি। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছি। তিনি বলেন, জব্দ করা মালামাল এভাবে বছরের পর বছর পড়ে থাকায় পরে সেটা রাষ্ট্রেরও কাজে লাগে না, মালিকেরও কাজে লাগে না। আমরা দেখেছি, জব্দ করা মালামালের মধ্যে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে। পুরো বিষয়টি নিয়েই একটি ব্যবস্থাপনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category