নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদগুলোর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে প্রবাহিত হচ্ছে। কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার হলেও বর্তমানে ২ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তেতুলিয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৯০ হলেও বর্তমানে ৩ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান সংলগ্ন সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ৩ দশমিক ৪১ হলেও বর্তমানে ৪ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তজুমদ্দিন এলাকার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার আর বর্তমানে ৩ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ঝালকাঠী বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হলেও বর্তমানে ২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জের পায়রা ও বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮১ হলে বর্তমানে ৩ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৮৫ হলে বর্তমানে ৩ দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাথরঘাটা বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮৫ বর্তমানে ৩ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৬৮ বর্তমানে ২ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর উমেদপুর কচা নদীর পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ৬৫ বর্তমানে ২ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্ষা মৌসুমে বরিশাল বিভাগের মোট ২৩টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। তবে বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তার মধ্যে ১০ নদীর পানিই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ফলে নদীর তীরের জনপদ, চরাঞ্চল ২ থেকে ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় অধিকাংশ স্থানের গ্রামবাসী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার একর ফসলী জমিও পানির নিচে রয়েছে। তাছাড়া জোয়ারের পানির ¯্রােতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে লালুয়া, চম্পাপুর ও মহিপুর ইউনিয়নের ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, বরিশাল নগরীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি নগরীর ড্রেনগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন সড়ক ডুবে পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়িতে পানি প্রবেশ করছে। কীর্তনখোলা নদীর সঙ্গে এসব ড্রেনের সংযোগ থাকায় জোয়ারের সময় নগরবাসীকে এমন ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ইতোমধ্যে নগরীর আমানতগঞ্জ, সাগরদী, ধান গবেষণা, জিয়ানগর, ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোড, স্টেডিয়াম কলোনী, রসুলপুর গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় সেখানকার বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।