• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী শ্রম আইনের মামলায় ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্ব থাকবে জনস্বাস্থ্যেও: পরিবেশ মন্ত্রী অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ: তথ্য প্রতিমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনায় বিকল্পভাবে পণ্য আমদানির চেষ্টা করছি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্যসেবায় অভূতপূর্ব অর্জন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে: রাষ্ট্রপতি শান্তি আলোচনায় কেএনএফকে বিশ্বাস করেছিলাম, তারা ষড়যন্ত্র করেছে: সেনাপ্রধান বন কর্মকর্তার খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: পরিবেশমন্ত্রী পুরান ঢাকার রাসায়নিক গুদাম: ১৪ বছর ধরে সরানোর অপেক্ষা ভাসানটেক বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন করা হবে : মেয়র আতিক

দন্ডবিধিতে নারীর অধিকার

Reporter Name / ১৬৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১

নুরে আলম
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় বলে গেছেন,’বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।’
আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান । আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র সর্বদা সচেতন। নারীরা শারীরিক ভাবে পুরুষের চেয়ে কম শক্তিশালী বলে তারা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। প্রতিটি রাষ্ট্রে নারী সুরক্ষায় তাদের নিজস্ব আইন রয়েছে। বাংলাদেশও নারী অধিকারে কঠোর আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭,যৌতুক নিরোধ আইন ১৯৮০, জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি- ২০১১ ইত্যাদি। সকল প্রকার অপরাধ কে প্রতিহত করার মূল ও আদি আইন হল দ- বিধি ১৮৬০। যদিও ব্রিটিশ শাসন আমলের এই আইন আমাদের এই উপমহাদেশে কার্যকর হয় তবুও আমারা এই আইন মেনে চলছি। তাই সকল প্রকার যুক্তির উপরে বলা যায় দ-বিধি এখন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় কার্যকর বলেই আমরা দ-বিধি মেনে চলি। দ-বিধিতে নারীদের সুরক্ষার জন্য বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ধারা রয়েছে। নারী সুরক্ষায় মৃত্যুদ-ের বিধান পর্যন্ত রয়েছে। দ-বিধি পর্যালোচনা করলে নারী সুরক্ষায় যে সকল বিধান পাওয়া যায় সেগুলো যদি আইনি ব্যবস্থায় ও সমাজে যথাযথ ভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয় তবে আর আমাদের আর কোন দিন নারী নির্যাতনের ঘটনা শুনতে হবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবে নারী নির্যাতন মুক্ত সুন্দর সমাজ। আমাদের সকলের দ-বিধির ধারা গুলো জানা প্রয়োজন। দ-বিধির ৩১২ ধারায় গর্ভপাত মৃত্যু সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে গর্ভবতী স্ত্রীলোকের গর্ভপাত করায়, এবং যদি সে গর্ভপাত সরল বিশ্বাসে উক্ত স্ত্রীলোকের জীবন বাঁচাবার উদ্দেশ্যে না করা হয়ে থাকে, তবে সে ব্যক্তি তিন বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে, অথবা অর্থ দ-ে, অথবা উভয়বিধ দ-েই দ-িত হবে; এবং যদি স্ত্রীলোকটি শিশুর বিচরণ অনুভব করে, তবে সে ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে।ব্যাখ্যা যে স্ত্রীলোক নিজেই নিজের অকাল গর্ভপাত করায়, সে স্ত্রীলোকও এই ধারার অর্থের অন্তর্ভুক্ত হবে। দ-বিধির ৩১৩ ধারায় স্ত্রীলোকের সম্মতি ছাড়া গর্ভপাত সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি পূর্ববর্তী ধারায় বর্ণিত অপরাধটি সংশ্লিষ্ট স্ত্রীলোকের সম্মতি ছাড়া সম্পাদন করে-স্ত্রীলোকটি আসন্ন প্রসব হোক বা না হোক- তবে সে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদ-ে অথবা দশ বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে।
দ-বিধির ৩১৪ ধারায় গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে কৃত কাজের ফলে মৃত্যু সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি কোন গর্ভবতী স্ত্রীলোকের গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে কৃত কোন কাজের ফলে সে স্ত্রীলোকটির মৃত্যু ঘটায়, তবে সে ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে। যদি কাজটি সে স্ত্রীলোকটির সম্মতি ছাড়া করা হয়ে থাকে, তবে সে ব্যক্তি হয় যাবজ্জীবন কারাদ-ে, কিংবা উপরোল্লিখিত দ-ে দ-িত হবে।
দ-বিধির ৩৬৬ ধারায় কোন নারীকে বিবাহ ইত্যাদিতে বাধ্য করার অভিপ্রায়ে অপহরণ বা হরণ বা প্রলুব্ধকরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি কোন নারীকে অপহরণ করে এবং অপহরণ করার উদ্দেশ্য হয় অথবা অপহরণ করার ফলে এইরূপ হবে জানে যে, সে নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তিকে বিবাহ করতে বাধ্য করা অথবা তাকে অবৈধ সহবাসে জোরপূর্বক বা ফুসলিয়ে বাধ্য করা অথবা তাকে জোরপূর্বক, বা ফুসলিয়ে অবৈধ সহবাসে বাধ্য করা হতে পারে জানা সত্ত্বেও যদি তাকে অপহরণ করা হয়, তবে সে ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে।
দ-বিধির ৩৭২ ধারায় বেশ্যাবৃত্তি, প্রভৃতির উদ্দেশ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিক্রয় সম্পর্কে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তি যদি আঠারো বৎসরের নিম্নবয়স্ক কোন ব্যক্তিকে বিক্রয় করে, ভাড়া দেয় বা অপর কোনভাবে বিলিব্যবস্থা করে এই উদ্দেশ্যে যে অথবা এটা জানা সত্ত্বেও যে, অনুরূপ ব্যক্তিকে কোন বিশেষ বয়সে বেশ্যাবৃত্তিতে বা অপর কোন ব্যক্তির সাথে অবৈধ সহবাসে কিংবা কোন বেআইনী ও নীতিবিগর্হিত কাজে ব্যবহৃত বা নিয়োজিত করা হবে, তবে সে ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে।
দ-বিধির ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন পুরুষ অতঃপর উল্লেখিত ব্যতিক্রম ভিন্ন অপর সকল ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পাঁচটি যেকোনো অবস্থায় কোন স্ত্রীলোকের সাথে যৌনসঙ্গম করলে সে ধর্ষণ করেছে বলে পরিগণিত হবে।
প্রথমত:- স্ত্রীলোকটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ।
দ্বিতীয়ত:- স্ত্রীলোকটির সম্মতি ব্যতিরেকে।
তৃতীয়ত:-স্ত্রীলোকটির সম্মতিক্রমেই, যেক্ষেত্রে মৃত্যু বা জখমের ভয় প্রদর্শন করে স্ত্রীলোকটির সম্মতি আদায় করা হলে।
চতুর্থত- স্ত্রীলোকটির সম্মতিক্রমেই, যেক্ষেত্রে পুরুষটি জানে যে, সে স্ত্রীলোকটি স্বামী নয়, এবং পুরুষটি ইহার জানে যে, স্ত্রীলোকটি তাকে এমন অপর একজন পুরুষ বলে ভুল করেছে, যে পুরুষটির সাথে সে আইন সম্মত ভাবে বিবাহিত হয়েছে বা বিবাহিত বলে বিশ্বাস করে ।
পঞ্চমত:- স্ত্রীলোকটির সম্মতিক্রমে অথবা সম্মতি ব্যতিরেকে, যতি স্ত্রীলোকটির বয়স চৌদ্দ বৎসরের কম হয়।
দ-বিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণের সাজা সম্পর্কে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তি যদি ধর্ষণের অপরাধ করে, তবে সে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদ-ে, অথবা দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে, এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে, যদি না ধর্ষিত স্ত্রীলোকটি তার নিজ স্ত্রী হয় ও বারো বৎসরের কম বয়স্কা না হয়; যদি তদ্রুপ হয়, তবে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে অথবা অর্থ দ-ে অথবা উভয়বিধ দ-েই দ-িত হবে। দ-বিধির ৪৯৩ ধারায় কোন ব্যক্তি দ্বারা প্রতারণামূলকভাবে আইনসম্মত বিবাহের বিশ্বাসে প্ররোচিত করে স্বামী-স্ত্রীরূপে সহবাস করা সম্পর্কে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তি যদি যে নারী তার সাথে আইন সম্মত ভাবে বিবাহিত নয় সে নারীকে প্রতারণামূলক ভাবে বিশ্বাস করায় যে, সে নারী তার সাথে আইনসম্মত ভাবে বিবাহিত এবং সে নারীকে এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে তার সাথে সহবাসে বা যৌন সঙ্গমে প্রবৃত্ত করে, তবে উক্ত ব্যক্তি দশ বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে। দ-বিধির ৪৯৪ ধারায় স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করা সম্পর্কে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তি যদি এক স্বামী বা এক স্ত্রী জীবিত থাকা সত্ত্বেও এমন কোন পরিস্থতিতে বিবাহ করে, যে পরিস্থিতিতে স্বামী বা স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় সংঘটিত বলে অনুরূপ বিষয়টি অবৈধ হয়েছে, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে। স্বামী বা স্ত্রীর জীবদ্দশায় পুনরায় বিবাহ করা সম্পর্কে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। দ-বিধির ৪৯৫ ধারায় যে ব্যক্তির সঙ্গে পরবর্তী বিবাহের চুক্তি সম্পাদিত হয় তার কাছে পূর্ববর্তী বিবাহের তথ্য গোপন রেখে উক্ত অপরাধ সংঘটন সম্পর্কে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তি যদি পরবর্তী বিবাহের চুক্তি যার সাথে সম্পাদিত করা হল তার নিকট থেকে পূর্ববর্তী বিবাহ সম্পর্কিত তথ্য গোপন রেখে পূর্ববর্তী সর্বশেষ ধারায় উল্লেখিত অপরাধ সংঘটন করে, তবে উক্ত ব্যক্তি দশ বৎসর যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে। দ-বিধির ৪৯৬ ধারায় আইনসম্মত বিবাহ সম্পাদন ছাড়াই প্রতারণামূলক ভাবে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা সম্পর্কে বলা হয়েছে , কোন ব্যক্তি যদি অসাধুভাবে বা প্রতারণামূলক উদ্দেশ্য নিয়ে সে আইনত: বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে না জানা সত্ত্বেও বিবাহের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে, তবে উক্ত ব্যক্তি সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে দ-িত হবে এবং তদুপরি অর্থ দ-েও দ-িত হবে। দ-বিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচার সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি অপর কোন ব্যক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অন্য কোন ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ আছে এমন কোন ব্যক্তির সাথে উক্ত অন্য ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থন ছাড়া এইরূপ যৌন সঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের সামিল নয়, তবে সে ব্যক্তি ব্যভিচারের অপরাধের জন্য দোষী হবে এবং তাকে সাত বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে অথবা অর্থ দ-ে, অথবা উভয়বিধ দ-েই দ-িত করা যাবে। অনুরূপ ক্ষেত্রে স্ত্রী ব্যক্তিটি দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে দ-িত হবে না। দ-বিধির ৪৯৮ ধারায় কোন বিবাহিতা নারীকে অপরাধমূলক উদ্দেশ্যে প্রলুব্ধ করা বা অপহরণ বা আটক করা সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি যে নারী অপর পুরুষের সাথে বিবাহিতা এবং তা সে জানে বা তার অনুরূপ বিশ্বাস করার কারণ রয়েছে, এইরূপ নারীকে কোন ব্যক্তির সাথে অবৈধ যৌনসঙ্গম করার উদ্দেশ্যে বিবাহিত পুরুষের নিকট থেকে বা সে পুরুষের স্বপক্ষে অপর যে ব্যক্তি সে নারীর তত্ত্বাবধায়ক সে ব্যক্তির নিকট থেকে অপহরণ বা প্রলুব্ধ করে নিয়ে যায়, বা অনুরূপ কোন নারীকে উপযুক্ত উদ্দেশ্যে গোপন বা আটক করে, তবে সে ব্যক্তি দুই বৎসর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদ-ে, অথবা অর্থ দ-ে, অথবা উভয়বিধ দ-েই দ-িত হবে। দ-বিধির ৫০৯ ধারায় কোন নারীর শীলতাহানির সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি কোন নারীর শীলতাহানির উদ্দেশ্যে সে নারী যাতে শুনতে পায় এমন কোন কথা বলে বা শব্দ করে অথবা সে নারী যাতে দেখতে পায় এমন ভাবে কোন অঙ্গভঙ্গি করে বা কোন বস্তু প্রদর্শন করে অথবা অনুরূপ নারীর গোপনীয়তা অনধিকার লঙ্ঘন করে, তবে সে ব্যক্তি এক বৎসর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদ-ে অথবা অর্থ দ-ে, অথবা উভয়বিধ দ-েই দ-িত হবে। এই সকল ধারা নারী সুরক্ষার জন্য দ-বিধিতে রয়েছে। তবুও সামাজিক কারণে আইন সঠিক ভাবে কার্যকর হতে পারে না। আইন কে সঠিক ভাবে কার্যকর করতে হলে প্রথমে আমাদের নিজেদের কে নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজন, আইনের প্রয়োগ ও ইতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার। আমদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পুরুষদের মানসিকতা পরিবর্তন করলেই আমাদের সমাজ হতে নারী নির্যাতন অনেকাংশে নির্মূল হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category