নিজস্ব প্রতিবেদক :
যখন দুর্ঘটনা ঘটেছিল তখন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। তিনি প্রস্তুত ছিলেন রনিকে সিঙ্গাপুর পাঠানোর জন্য। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনতে সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন। তখন ইউএস-বাংলাকে বলা হয়েছিল তাদের দিয়ে দ্রুত সিঙ্গাপুরে বা যেখানে প্রয়োজন সেখানে যেন পাঠাতে পারি। পরবর্তী সময়ে শুনলাম আবু হেনা রনি ও জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেছেন। এ কারণে তাদের আর বাইরে নেওয়া হয়নি। পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এসব কথা বলেছেন। আজ শনিবার দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, এই হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশ্ব মানের। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখায় তাদের আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আইজিপি আরও বলেন, আবু হেনা রনি একজন জাতীয় কৌতুক অভিনেতা। সাধারণ মানুষও অনেক কষ্ট পেয়েছে তার এই আহত হওয়ার কারণে। আজকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার খবর শুনে সাধারণ মানুষ উজ্জীবিত হবে। তিনি আবারও কৌতুক পরিবেশনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারবেন। হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পত্র-পত্রিকায় এই অভিযান সম্পর্কে আপনারা দেখছেন। আমি মনে করি এই বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। এর আগে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রায় ১ মাস পর ছাড়া পেলেন আবু হেনা রনি ও পুলিশের কনস্টেবল জিল্লুর রহমান। সরকারি খরচ বাদ দিয়ে তাদের সব খরচ পুলিশ বাহিনী বহন করেছে। তার চিকিৎসায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এজন্য পুলিশ বাহিনীকেও আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি গ্যাস বেলুনের বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। অনেক বাচ্চা বেলুনে আগুন লাগার ঘটনায় পুড়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে রনি ও পুলিশ সদস্য জিল্লুর রহমানের হাতে ছাড়পত্র তুলে দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ প্রধান।