নিজস্ব প্রতিবেদক :
মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, নতুন ভূমি আইন শিগগিরই চালু হচ্ছে। নতুন ভূমি আইনে দখলের মাধ্যমে মালিকানার সুযোগ থাকছে না। জমি ও কাগজ যার মালিকানা স্বত্বও তার। তিনি বলেন, এলাকার ক্ষমতাশীল ব্যক্তিরা জমি দখল করে। এতে প্রকৃত জমির মালিক তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। নতুন ভূমি আইনে সেই সুযোগ আর থাকছে না। কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয়, সেই জন্য জমি ও কাগজ যার মালিকানা স্বত্বও তার। ভূমি সহকারী কমিশনার, রেজিষ্টার ও দলিল গ্রহিতার জন্য একত্রে তিনটি দলিল হবে। একই জমি দু’বার দলিল যাতে না হয়, এজন্য সরকার এই ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করছে। যে জমি কিনবে শুধুমাত্র তার নামেই মিউটেশন হবে। সাতদিনের মধ্যে ভূমি সহকারী কমিশনার জমির মিউটেশন করতে বাধ্য। এতে দু’বার জমি বিক্রি করার সুযোগও থাকছে না। আজ মঙ্গলবার মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৫ জেলার (মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী) কর্মকর্তাদের সাথে ভূমি সেবা ও কর্ম সম্পাদন ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব এসব কথা বলেন। সচিব বলেন, দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদন বাড়াতে সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে কৃষি পণ্য ধান, শাকসবজি, মাছ ও মুগরির উৎপাদন বাড়াতে এবং পতিত জমিতে চাষাবাদ করতে জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধ ও করোনার জন্য আগামীতে খাদ্য ঘাটতি হতে পারে এ কথা উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এজন্য কৃষি পণ্য ধান, শাকসবজি, মাছ ও মুরগির উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, বোরো ধান ২৮ ও ২৯ এর পরিবর্তে নতুন বিরিধান ৯৮ উৎপাদন করা হবে। এতে আগের থেকে দ্বিগুণ উৎপাদন বাড়বে। ইতোমধ্যে গবেষণা শেষ হয়েছে। শিগগিরই চাষী ভাইদের বীজ দেয়া হবে। সভায় ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, যুগ্ন সচিব রেজাউল ইমলাম ও মাজিদুল ইসলামসহ মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।