নিজস্ব প্রতিবেদক :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বাংলাদেশের নারীরা পুরষের চেয়ে বেশি সুযোগ চায় না, তারা সমান সুযোগ চায়। বঙ্গবন্ধু এমন একটি রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যে রাষ্ট্র হবে শোষণ ও বঞ্চনা মুক্ত। যেখানে নারী-পুরুষ সমানভাবে নিজ নিজ যোগ্যতায় দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে নারীরা পুরুষের সমান যোগ্যতা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি দক্ষতা ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। যা জাতির পিতার স্বপ্নেরই প্রতিফলন। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়নে জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী কমিটি, পরিচালনা পরিষদ, জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির পিতা সংবিধানে নারী অধিকার ও সমতা নিশ্চিত করেছেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মপরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। যার ফলে জেন্ডার সমতা অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তারা। আরও উপস্থিত ছিল জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থার অধীন উন্নয়ন প্রকল্প, ক্ষুদ্র ঋণ ও ডে-কেয়ার সেন্টার বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী কমিটির সদস্য তাহমিনা সুলতানা ও পরিচালনা পরিষদের সদস্য ফারজানা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন। সভায় জাতীয় মহিলা সংস্থা, জেলা-উপজেলার চেয়ারম্যান, মাঠ পর্যায়ে নারী উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে নতুন প্রকল্প, কর্মসূচি গ্রহণ এবং ক্ষুদ্রঋণের টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।