নিজস্ব প্রতিবেদক :
সম্প্রতি ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন, জনতা ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা সোহেল রানা ও ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী এবি জাহিদ। আজবৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহাদাত হোসেন সোমা জানান, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত অন্যান্যের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। গত বুধবার ডিবি জানায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে একটি চক্র দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। চক্রটি এর আগেও অনুষ্ঠিত হওয়া চারটি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও ফাঁস করেছে বলেও তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ চক্রের মধ্যে তিনটি সরকারি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। এর আগে গ্রেপ্তার চক্রের ৫ সদস্য হলেন- প্রশ্ন ও উত্তর ফাঁসের মূল হোতা আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যায়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার অফিসার শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিলন ও রাইসুল ইসলাম স্বপন। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত পাঁচটি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা গত ৬ নভেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে সোনালী ব্যাংক ১৮৩টি, জনতা ব্যাংক ৫১৬টি, অগ্রণী ব্যাংক ৫০০টি, রূপালী ব্যাংক ৫টি এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ৭টি পদ রয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র তৈরি ও পুরো পরীক্ষা সম্পাদনের দায়িত্বে ছিল আহসানল্লাহ ইউনির্ভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।