• সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন
  • ই-পেপার
সর্বশেষ
দদুর্নীতির বড় অভিযুক্তরা পাশের দেশে আছেন: দুদক চেয়ারম্যান এবারও আসছে তীব্র তাপপ্রবাহ, নেই তেমন প্রস্তুতি লিবিয়ায় দুই গণকবর থেকে ৪৯ অভিবাসী-শরণার্থীর মরদেহ উদ্ধার তিন জিম্মির বিনিময়ে ১৮৩ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যে সাবেক এমপি চয়নকে গ্রেফতার করলো পুলিশ হাওরে কৃষি জমিতে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার ‘ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ ব্যাংকের সেই ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক কৃষিঋণ বিতরণ কমায় বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা আমরা একটি সুস্থ জাতি দেখতে চাই: সেনাপ্রধান

নুরসহ ৫ জনকে অব্যাহতি, মামুনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

Reporter Name / ৫০৯ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর কোতোয়ালী থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ আদেশ দেন। ভিপি নুর ছাড়াও এ মামলায় অব্যাহতি পাওয়া অন্য চার আসামি হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)। গত ৮ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়। সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়। তবে এ মামলায় নুরুল হক নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করে পুলিশ। ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে ভিপি নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বাদীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সঙ্গে বাদীর পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে আসামি মামুন বাদীকে শারীরিক সম্পর্কের ইঙ্গিত দেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে বাদীকে মামুন তার লালবাগের বাসায় যেতে বলেন। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাদীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় একই বছরের ১২ জানুয়ারি বাদী অসুস্থ অবস্থায় আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরই আত্মগোপনে চলে যান আসামি হাসান আল মামুন। একপর্যায়ে মামুনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সকালে বাদীকে কোতোয়ালি থানাধীন ৫৬৩/৫৬৬ মিউনিসিপাল হকার্স মার্কেট এলাকায় সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান আসামি সোহাগ। সেখানে বাদীকে সকালের নাস্তা করিয়ে কৌশলে লঞ্চযোগে চাঁদপুর নিয়ে যাওয়া হয়। চাঁদপুর পৌঁছে মামুনকে দেখতে না পেয়ে বাদীর মনে সন্দেহ জাগে। তখন দ্রুত ঢাকায় ফিরতে সোহাগকে তাড়া দেন বাদী। ওইদিনই বিকেলে সোহাগ বাদীকে নিয়ে লঞ্চের কেবিনে অবস্থান নেন এবং তাকে ধর্ষণ করেন। এমনকি বাদী কান্নাকাটি করলে তাকে ‘নষ্ট মেয়ে’ বলেও ভয়ভীতি দেখান এবং কান্না করে লাভ হবে না বলে জানান সোহাগ। এরপর গত বছরের ২৯ মে আসামি সোহাগ বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য আরোহী সীমা (অৎড়যর ংরসধ) ও বৈশাখী দাস (ইধরংযধশর উধং) নামের দুটি ফেক আইডি খুলে বিভিন্ন যৌনতাপূর্ণ গ্রুপে বাদীর মোবাইল নম্বর ছড়িয়ে দেন। এর প্রায় তিন সপ্তাহ পর ২০ জুন বাদী এ বিষয়টি বিবাদী ভিপি নুরকে মৌখিকভাবে জানান। বিস্তারিত শোনার পর ভিপি নুর বাদীকে সুব্যবস্থার আশ্বাস দেন। ওই বছরের ২৪ জুন আসামি নুর বাদীকে নীলক্ষেত এলাকায় দেখা করতে বলেন এবং বাদী সেখানে উপস্থিত হলে তাকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। এমনকি বাড়াবাড়ি করলে নিজের অনুসারীদের দিয়ে বাদীর নামে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া এবং বাদীকে পতিতা বলে প্রচার করা হবে বলে হুমকি দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category