০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫ | ই-পেপার

নৌকাডুবে ১৮ প্রাণহানি: ক্ষতিপূরণে হাইকোর্টের রায় চেম্বারে স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০১৭ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রামের সন্দীপের গুপ্তছড়া ঘাট এলাকায় নৌকাডুবিতে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ লাখ টাকা করে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। গত ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিসিকে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে ৬০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল। টাকা পরিশোধে বিলম্ব হলে লভ্যাংশসহ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। বিআইডব্লিউটিসির করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্টের ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তবে স্থগিতাদেশের বিষয়টি গতকাল সোমবার গণমাধ্যমের নজরে আসে। ওইদিন আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো.আব্দুল হালিম। আদেশের বিষয়টি গতকাল সোমবার রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ হওয়ার পরে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবো। অর্থাৎ আমরা আপিলের বিষয়ে চিন্তা করবো। সন্দ্বীপের বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ জহরুল ইসলামের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে এ রায় দেন। ওইদিন রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মো.আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পক্ষে ছিলেন এম জি মাহমুদ শাহীন ও বিআইডব্লিউটিসির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাইফুর রশিদ। ২০১৭ সালে ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের সীতাকু-ের কুমিরা ঘাট থেকে প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সন্দ্বীপে যাবার পথে ওইদিন জাহাজটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে পৌঁছায়। জাহাজ সরাসরি ঘাটে ভিড়তে না পারায় যাত্রীরা ঘাটের কিছুটা দূরে জাহাজ থেকে নেমে নৌকায় ওঠেন। এরপর নৌকায় করে যাত্রীদের ঘাটে যাওয়ার সময় প্রচ- বাতাসে নৌকা উল্টে যায়। পরে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটের ওপর পরে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার: উপদেষ্টা

নৌকাডুবে ১৮ প্রাণহানি: ক্ষতিপূরণে হাইকোর্টের রায় চেম্বারে স্থগিত

আপডেট সময়ঃ ০৬:৫৫:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০১৭ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রামের সন্দীপের গুপ্তছড়া ঘাট এলাকায় নৌকাডুবিতে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ লাখ টাকা করে মোট ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। গত ৩০ জুন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ও বিআইডব্লিউটিসিকে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে ৬০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের এ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল। টাকা পরিশোধে বিলম্ব হলে লভ্যাংশসহ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। বিআইডব্লিউটিসির করা আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্টের ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তবে স্থগিতাদেশের বিষয়টি গতকাল সোমবার গণমাধ্যমের নজরে আসে। ওইদিন আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মো.আব্দুল হালিম। আদেশের বিষয়টি গতকাল সোমবার রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল হালিম নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি প্রকাশ হওয়ার পরে আমরা পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবো। অর্থাৎ আমরা আপিলের বিষয়ে চিন্তা করবো। সন্দ্বীপের বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ জহরুল ইসলামের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে এ রায় দেন। ওইদিন রিট আবেদনকারী পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মো.আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের পক্ষে ছিলেন এম জি মাহমুদ শাহীন ও বিআইডব্লিউটিসির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাইফুর রশিদ। ২০১৭ সালে ৪ এপ্রিল চট্টগ্রামের সীতাকু-ের কুমিরা ঘাট থেকে প্রায় ৩৫০ জন যাত্রী নিয়ে একটি জাহাজ সন্দ্বীপে যাবার পথে ওইদিন জাহাজটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে পৌঁছায়। জাহাজ সরাসরি ঘাটে ভিড়তে না পারায় যাত্রীরা ঘাটের কিছুটা দূরে জাহাজ থেকে নেমে নৌকায় ওঠেন। এরপর নৌকায় করে যাত্রীদের ঘাটে যাওয়ার সময় প্রচ- বাতাসে নৌকা উল্টে যায়। পরে কোস্টগার্ড ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর ক্ষতিপূরণ চেয়ে ওই বছরই হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটের ওপর পরে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।