• বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
শান্তিরক্ষার দায়িত্বে সরকার সচেতন থাকবে: আইনমন্ত্রী পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা মাথায় রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী হরতাল-অবরোধের প্রভাব পণ্য পরিবহনে, বাড়তি ব্যয়ের বোঝা ভোক্তাদের কাঁধে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে উৎসাহিত করা হবে: এলজিআরডি মন্ত্রী বিশ্বকাপ ব্যর্থতা, অনুসন্ধানে বিসিবির কমিটি পোর্তোকে হারিয়ে নক আউট পর্বে বার্সেলোনা তাইজুল ঝলকে দ্বিতীয় দিন শেষেও এগিয়ে বাংলাদেশ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর বিচারকের সই জাল: দুই পুলিশের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৪ ডিসেম্বর ‘অনুমতি ছাড়া তথ্য ব্যবহারে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা’

পরিদর্শকদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে রাজউক

Reporter Name / ৩৮ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নকশার বাইরে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ভবনের তালিকা করতে যাচ্ছে। একই সাথে রাজউকের পরিদর্শকদেরও আইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। রাজধানীতে রাজউকের নিয়ম মেনে নকশা অনুমোদনের পর তার বাইরে অহরহ ভবন নির্মিত হচ্ছে। আর সংস্থাটির পরিদর্শকরা তা দেখেও না দেখার ভান করছে। ফলে রাজধানীর অধিকাংশ ভবনই অনুমোদিত নকশার বাইরে নির্মিত। তবে রাজউকের পরিদর্শকদের দাবি, প্রভাবশালীতের হুমকি-ধমকির কাছে তারা অসহায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বাধা দেয়া সম্ভব হয় না। রাজউক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নিয়মবহির্ভূত ভবনের লাগাম ধরতে রাজউকের কঠোর অবস্থান জরুরি। আর নিয়মের ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে কেবল পরিদর্শকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনলেই চলবে না, সংশ্লিষ্ট অন্যান্যের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশেষ করে যারা জেনেশুনে অনিয়ম করেছে, যারা প্রভাব খাটিয়েছে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। তবে ভবন মালিক ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মতে, নিয়ম মেনে রাজউকের কোনো কাজই করা যায় না। ঘুষ দিলেই সব হয়। ভবন বানানোর সময় থেকেই পরিদর্শকরা ঘুষের জন্য ঘুরতে থাকে। তার আগ পর্যন্ত নানা আইন আর নিয়ম দেখানো হয়। কিন্তু টাকা দিলে সব অনিয়ম শুদ্ধ হয়ে যায়।
সূত্র জানায়, রাজউকের আওতাধীন এলাকায় যেসব ভবন নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্মাণ হয়েছে সেগুলোর একটি তালিকা প্রণয়ন করা হবে। পাশাপাশি ভবনগুলোর ওই অনিয়মের ক্ষেত্রে পরিদর্শকদের গাফিলতি আছে কিনা তা যাচাই করা হবে। যদি পরিদর্শকদের অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে তখন তাদের বিরুদ্ধে বিধিমালা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমান মিঞা জানান, রাজউকের পরিদর্শকরা নানা অজুহাত দেখায়। অনেক সময় তারা কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসার পর আবার শুরু করে দেয়া হয় বলেও জানায়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এখন থেকে রাজউকের মনিটরিং টিম বেশি বেশি করে বাইরে যাব। পরিদর্শকদের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্যই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব ভবন একেবারেই নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্মাণ হয়েছে সেগুলো ভেঙে ফেলা হবে। সেক্ষেত্রে যদি কোনো পরিদর্শকের অনিয়ম বা দুর্নীতি প্রমাণিত হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষ জিরো টলারেন্স নীতি মেনে অ্যাকশনে যাবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category