০৯:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

পাট খাতের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে: মন্ত্রী

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৯:০০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতায় পাট খাতের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করে আরও সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আজ রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিনসহ উভয় অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পাট খাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এই খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। যদিও কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তু’র (পলিথিন) ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।’ দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সব সময় পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে পাটকলসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর পাট মৌসুম শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচাপাট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে কাঁচাপাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক। চাষিরা ভাল পাটের ভালো দাম পাবেন। কোনও কারণে যেন কাঁচা পাটের দাম অসহনীয় না হয়, সেজন্য সর্বদা বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।’ পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচা পাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’

ট্যাগস :

রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা বন্ধ হলে চাকরি হারাবেন বাংলাদেশি শিক্ষকরাও

পাট খাতের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করা হয়েছে: মন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৯:০০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
সরকারের ধারাবাহিক সময়োপযোগী পৃষ্ঠপোষকতায় পাট খাতের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করে আরও সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। আজ রোববার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ) ও বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত (পাট) তসলিম কানিজ নাহিদা, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) চেয়ারম্যান শেখ নাসিরউদ্দিনসহ উভয় অ্যাসোসিয়েশনের নেতা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পাটমন্ত্রী বলেন, ‘পাট খাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এই খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। যদিও কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তু’র (পলিথিন) ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।’ দেশে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে সব সময় পাটের বাজার দর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখার পাশাপাশি কৃষককে অন্যান্য উপকরণ সহায়তার কারণে সম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে পাটকলসমূহ নিরবচ্ছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর পাট মৌসুম শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাঁচাপাট বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে কাঁচাপাটের উৎপাদনও সন্তোষজনক। চাষিরা ভাল পাটের ভালো দাম পাবেন। কোনও কারণে যেন কাঁচা পাটের দাম অসহনীয় না হয়, সেজন্য সর্বদা বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে।’ পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এজন্য লাইসেন্সবিহীন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাঁচা পাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভেজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচা পাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাট অধিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’