নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার উপকূলে গেল কয়েকদিন ধরা পড়েছিল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তবে জেলেদের দাবি, তীব্র রোদ ও গরমে বঙ্গোপসাগরে কাক্সিক্ষত ইলিশ ধরা পড়ছে না। গেল ৫ দিন ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়লেও, এখন মিলছে সামান্য ইলিশ। প্রচ- গরমে সাগরের গভীর জলে চলে যাচ্ছে মাছ। সাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাছ শিকারে যায় কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা। বর্ষা মৌসুমে হাল্কা বৃষ্টিও জেলেদের মাছ শিকারের উপযুক্ত সময়। তাই সাগরে গিয়ে জেলেরা জাল ফেলতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ওঠে ইলিশ। ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে জেলেরা বিক্রির জন্য দ্রুত ছুটে আসেন কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। এভাবে গেল ৫ দিন ধরে ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে অবতরণ কেন্দ্রে ফিরে একের পর এক ট্রলার। প্রতিটি ট্রলারে ছিল ৩ থেকে ৬ হাজার ইলিশ। কিন্তু এখন ট্রলারগুলো ফিরছে মাত্র ১ থেকে ২ হাজার ইলিশ নিয়ে। জেলেরা বলছেন, বৃষ্টি নেই, সাগরে প্রচ- গরমে গভীরে চলে যাচ্ছে ইলিশের ঝাঁক। তাই ধরা পড়ছে না কাক্সিক্ষত ইলিশ। জেলেরা বলেন, প্রচ- গরম এবং রোদের তাপে সাগরের গভীরে চলে যাচ্ছে মাছ। এতে মাছ একটু কম ধরা পরছে। প্রতিদিনই বাঁকখালী নদীর মোহনায় নোঙর করছে ইলিশসহ ৩০টির বেশি ট্রলার। ট্রলারে থেকে মাছ নামানোয় ব্যস্ততা বেড়েছে মৎস্য শ্রমিকদের। তারা বলেন, প্রচ- গরমে কাজ করতে কষ্ট হলেও আমাদের আয় এর ওপরেরই নির্ভর করে। তাই কাজ কমানোর সুযোগ নেই। এদিকে, অবতরণ কেন্দ্রে এখনো চড়ামূল্যে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। এতে লাভবান হচ্ছে ট্রলারের মালিক, মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা। তারা বলেন, মাছ নিয়ে একের পর এক ট্রলার আসছে। আমরা ডাকে মাছ বিক্রি করছি। লাভ থাকছে। গত কয়েকদিনে অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে ১০৬ টন ইলিশ। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি; ২’শো টনের বেশি ইলিশ নেমেছে কক্সবাজার মৎস্য কেন্দ্রে।