• রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
দুদক কর্মকর্তাদের নৈতিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামছে ভোক্তা-অধিকার রাজনীতি যার যার, অর্থনীতি সবার: এফবিসিসিআই সভাপতি বান্দরবানে হুমকির মুখে সরকারের হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বান্দরবান জেলা সদর সহ ৬ টি উপজেেলায় শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়া হবে বান্দরবানে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা মাদকদ্রব্য ধ্বংস বিচারপতির গাড়িতে তেল কম দেওয়ায় ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা বিচারক সোহেল রানার সাজার বিরুদ্ধে আপিলের রায় ১২ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারে বিদেশী বিনিয়োগ ক্রমাগত কমছে

প্রাথমিকে সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষক নিয়োগের রায় আপিলে স্থগিত

Reporter Name / ৪৫ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি নিয়ে গত সোমবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের সাতটি রায়ে এসব শিক্ষকের সংখ্যা মোট প্রায় সাড়ে চার শতাধিক। আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ এএম আমিন উদ্দিন। এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগ, জাল নথি দিয়ে হাইকোর্ট থেকে রায় পেয়েছেন তারা। জানা গেছে- ২০১৩ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকার দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রকৃতির বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয়করণের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত বিদ্যালয়গুলোর সম্পদ, অবকাঠামোগত অবস্থা, পাঠদান পরিস্থিতি, শিক্ষকের যোগ্যতা ও নিয়োগ পদ্ধতি বাস্তব যাচাইয়ের মাধ্যমে অধিগ্রহণের উপযুক্ত বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকরি সরকারিকরণের বিষয়ে সুপারিশের জন্য উপজেলা/থানা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হলো। ওই সময় সরকার ৪ হাজার ৮২৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করে। ওইসব স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের জাতীয়করণের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়ে ২০১৬ সালে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপন জারির পর শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের জন্য তালিকা প্রস্তুত করে যাচাই-বাছাই কমিটি। কমিটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। পরে তাদের নামে গেজেটভুক্ত হয়। তবে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এমন অভিযোগে হাইকোর্টে রিট করেন মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ ২৬ জন। পরে ৬টি পৃথক রিট করেন কয়েকশত প্রার্থী। রিটকারীদের দাবি- ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, রংপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত তারা। তাদের নাম যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশে ছিল এবং তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। কিন্তু পরে চাকরি জাতীয়করণ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। ওই সাত রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট সাড়ে চার শতাধিক শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ সাতটি রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, প্রথম রিট আবেদনে আবেদনকারী ছিলেন ২৬ জন। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলায় ২২ জন শিক্ষকের নিয়োগের তারিখ একই দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৬টি রিট আবেদনের অনেক রিট আবেদনকারী শিক্ষকের নিয়োগের তারিখও একই উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগ একটি কমিটির মাধ্যমে হবে। যেহেতু কমিটির সই পাওয়া যাবে না সেজন্য রিটকারীরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। সেই জালিয়াতিতে দেখা যাচ্ছে- এসব রিট আবেদনকারী কোনো বৈধ নিয়োগপত্র নেই। আবার কিছু রিটকারী নথি হাইকোর্টে দাখিল করেছেন। সেসব নথি ইস্যুর যে তারিখ দেখানো হয়েছে সেই তারিখগুলো সরকারি ছুটির দিনে (ঈদের ছুটি)। এসব প্রমাণপত্র আমরা আপিল বিভাগে উপস্থাপন করেছি। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের সাতটি রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে দেন। একটি লিভ দিয়ে বাকিগুলো ট্যাগ করে দিয়েছেন। এখন সবগুলোর শুনানি একসঙ্গে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category