ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

বকেয়া বেতন দাবি কারিগরির ৭৭৭ শিক্ষকের

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১
  • ১৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত সার-সংক্ষেপের আলোকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের শেষ হওয়া স্টেপ প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন, বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন শিক্ষকের ১৮ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” কারিগরি শাখা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষা আজ একটি অন্যতম হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ২০১০ সালের জুলাইয়ে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যানহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যা ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান ছিল। এ প্রকল্পের আওতায় কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে দুই ধাপে এক হাজার ১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। যার মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৭৭৭ জন। তারা বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এমনকি স্বাধীনতাযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য “বীর বিক্রম” খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও রয়েছে। বিগত ১০ বছরে কারিগরি শিক্ষার হার ২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশতে উন্নীত হয়েছে। দেশ-বিদেশের সব জরিপে দেশের কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অনুশাসনের আলোকে ২০১৯ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মরত শিক্ষকদের ৭৮৬ জনকে সাময়িকভাবে বহাল রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিক্ষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে বলেও জানানো হয়। বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ মাস ধরে ৭৭৭ জন শিক্ষক বেতন-ভাতাদি না পেয়ে পরিবার নিয়ে চরম অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বহু সহকর্মী মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। এমতাবস্থায় বকেয়া বেতন পরিশোধ জরুরি হয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে এস.এম. গোলাম মোস্তাফা কামাল, বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে কৃষকের লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে

বকেয়া বেতন দাবি কারিগরির ৭৭৭ শিক্ষকের

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী অনুমোদিত সার-সংক্ষেপের আলোকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের শেষ হওয়া স্টেপ প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন, বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ ৭৭৭ জন শিক্ষকের ১৮ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে “আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান” কারিগরি শাখা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে কারিগরি শিক্ষা আজ একটি অন্যতম হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মানোন্নয়ন ও শিক্ষক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে ২০১০ সালের জুলাইয়ে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং অ্যানহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যা ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলমান ছিল। এ প্রকল্পের আওতায় কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে দুই ধাপে এক হাজার ১৫ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। যার মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৭৭৭ জন। তারা বলেন, নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এমনকি স্বাধীনতাযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য “বীর বিক্রম” খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানও রয়েছে। বিগত ১০ বছরে কারিগরি শিক্ষার হার ২ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশতে উন্নীত হয়েছে। দেশ-বিদেশের সব জরিপে দেশের কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত অনুশাসনের আলোকে ২০১৯ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মরত শিক্ষকদের ৭৮৬ জনকে সাময়িকভাবে বহাল রেখে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজস্ব খাতে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে শিক্ষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে বলেও জানানো হয়। বক্তারা বলেন, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ মাস ধরে ৭৭৭ জন শিক্ষক বেতন-ভাতাদি না পেয়ে পরিবার নিয়ে চরম অর্থকষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বহু সহকর্মী মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। এমতাবস্থায় বকেয়া বেতন পরিশোধ জরুরি হয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে এস.এম. গোলাম মোস্তাফা কামাল, বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত ও অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।