০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫ | ই-পেপার

বগুড়ায় শিশুকে হত্যার পর লাশ গুম, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে বগুড়ার শাজাহানপুরের পাঁচ বছরের শিশু রোমানকে হত্যার পর লাশ গুম করার অপরাধে দুজনের মৃত্যুদ- ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা ক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুজন হলেন- শাজাহানপুরের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আবদুল খালেক ও চোপি নগর দক্ষিণ পাড়ার আবদুল মাজেদ। রায়ের সময় তারা পলাতক ছিলেন। যাবজ্জীবন সাজা পান ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক। তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জহুরুল ইসলাম বলেন, রোমানের দাদার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসামি খালেক ও মাজেদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসবের প্রতিশোধ নিতে আবদুল খালেক ও আবদুল মাজেদ শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা আবদুর রাজ্জাকের মাধ্যমে রোমানকে চকলেটের লোভ দিয়ে নিয়ে আনেন। এ কাজের জন্য আবদুর রাজ্জাককে ৮ হাজার টাকা দেন খালেক ও মাজেদ। পিপি আরও বলেন, খালেক ও মাজেদ রোমানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লাশ এলাকার এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেন। রোমান নিখোঁজের পর খালেকের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা স্বীকার করেন। তিনি মাজেদ ও রাজ্জাকের সম্পৃক্ততার কথাও জানান। তাদের দেয়া তথ্যে রোমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিও দিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিচারক খালেক ও মাজেদের মৃত্যুদ- দেন। আর আবদুর রাজ্জাকের যাবজ্জীবন সাজা দেন। তবে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। এরপর থেকে আবদুল খালেক ও আবদুল মাজেদ পলাতক আছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

কাস্টমস, ভ্যাট ও আয়করের সব দপ্তর দুই শনিবার খোলা

বগুড়ায় শিশুকে হত্যার পর লাশ গুম, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

আপডেট সময়ঃ ০৮:৪৯:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জেরে বগুড়ার শাজাহানপুরের পাঁচ বছরের শিশু রোমানকে হত্যার পর লাশ গুম করার অপরাধে দুজনের মৃত্যুদ- ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা ক মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দুজন হলেন- শাজাহানপুরের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আবদুল খালেক ও চোপি নগর দক্ষিণ পাড়ার আবদুল মাজেদ। রায়ের সময় তারা পলাতক ছিলেন। যাবজ্জীবন সাজা পান ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামের আবদুর রাজ্জাক। তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জহুরুল ইসলাম বলেন, রোমানের দাদার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসামি খালেক ও মাজেদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। এ ছাড়া নিহতের পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এসবের প্রতিশোধ নিতে আবদুল খালেক ও আবদুল মাজেদ শিশু রোমানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা আবদুর রাজ্জাকের মাধ্যমে রোমানকে চকলেটের লোভ দিয়ে নিয়ে আনেন। এ কাজের জন্য আবদুর রাজ্জাককে ৮ হাজার টাকা দেন খালেক ও মাজেদ। পিপি আরও বলেন, খালেক ও মাজেদ রোমানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লাশ এলাকার এক প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দেন। রোমান নিখোঁজের পর খালেকের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনা স্বীকার করেন। তিনি মাজেদ ও রাজ্জাকের সম্পৃক্ততার কথাও জানান। তাদের দেয়া তথ্যে রোমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনজীবী জহুরুল ইসলাম বলেন, আসামিরা হত্যার দায় স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দিও দিয়েছেন। গতকাল সোমবার বিচারক খালেক ও মাজেদের মৃত্যুদ- দেন। আর আবদুর রাজ্জাকের যাবজ্জীবন সাজা দেন। তবে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। এরপর থেকে আবদুল খালেক ও আবদুল মাজেদ পলাতক আছেন।