• রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
  • ই-পেপার

বশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বগুড়ায় গ্রেপ্তার

Reporter Name / ৯৫ Time View
Update : শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকার চাঞ্চল্যকর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন (৩৬)। আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে শিবগঞ্জ থানার পুলিশ উপজেলার মোকামতলা বাজার সংলগ্ন তার শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার ছোট ধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ২০১২ সালে বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তারের বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি দীপক কুমার দাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার ভোর রাতে মোকামতলায় আলাউদ্দিনের শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রীসহ বেড়াতে আসেন তিনি। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি কর্মস্থল কক্সবাজার জেলার টেকনাফে চলে যেতেন। আলাউদ্দিন টেকনাফে এনজিও ব্রাকে চাকরি করেন। তার স্ত্রী নাহিদ ফেরদৌস টেকনাফে একটি বিদেশি সাহায্য সংস্থায় চাকরি করেন। সেখানেই পরিচয় হলে ২০১৬ সালে তারা বিয়ে করেন। এর আগে, আলাউদ্দিন গাজীপুরে একটি পোল্ট্রি ফার্মে চাকরি করতেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন এবং ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে আলাউদ্দিন যখন বিশ্বিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তখন সেই বছরের ৯ ডিসেম্বর আলাউদ্দিনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রকাশ্যে দর্জি দোকান কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে হত্যা (২২) করেন। কোনো কারণ ছাড়াই হত্যা করা হয় বিশ্বজিৎকে। ঘটনার সময় সাংবাদিক, পুলিশ, শত-শত মানুষ হত্যাকা- দেখলেও কেউ বিশ্বিজৎকে উদ্ধারে এগিয়ে আসতে পারেননি। কারণ বিশ্বজিৎকে ঘিরে ছিলেন ২০/২৫ জন অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। হত্যাকা-ের ঘটনায় বিশ্বজিতের ভাই উত্তম দাস ঢাকার সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত শেষে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করলে ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২১ জন আসামির মধ্যে আট জনের মৃত্যুদ- এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারদ- প্রদান করেন। ২১ জন আসামির মধ্যে আটজন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং অপর ১৩ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পরে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামিদের পক্ষে আপিল করা হলে হাইকোর্ট দু’জনের মৃত্যুদ- বহাল রাখেন এবং চার জনের মৃত্যুদ- কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা এবং দু’জনকে খালাস দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের মধ্যে আলাউদ্দিন একজন। বিশ্বজিৎ হত্যাকা-ের সময় তার বয়স ছিল ২৬ বছর। মামলার এজাহারে আলাউদ্দিন ৪নং আসামি ছিলেন। বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যাকা- এবং রায় ঘোষণার পর থেকেই আলাউদ্দীন বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে তাকে ধরা গেল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category