• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনা হয় না: তথ্যমন্ত্রী

Reporter Name / ৯৬ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনা হয় না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা জানান। দেশের অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়নের পথে হাঁটছে তাতে আমাদের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভীত অনেক গভীর। দেশের রিজার্ভ ৫২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আমাদের যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে এক বছরের পণ্য কেনা যাবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার এখন অনেক বড়। দেশের প্রায় তিন কোটি মানুষের মাথাপিছু আয় এখন পাঁচ হাজার ডলারের বেশি। এ সংখ্যা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে অন্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনা চলে না। বিদ্যুৎখাতে যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে সেটি কোনো সঙ্কটে ফেলবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎখাতে তো প্রচুর ভর্তুকি দেওয়া হয়। ভর্তুকি না দিলে বিদ্যুতের দাম অনেক বাড়বে। সেটি তো সাধারণ মানুষের জন্য অসুবিধাজনক হবে। সরকার কৃষিখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। অথচ বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ এ ক্ষেত্রে ভিন্ন পরামর্শ দিয়েছিলো। কিন্তু কৃষিখাতে ভর্তুকি দেওয়ার সুফল হচ্ছে আজকে বাংলাদেশ আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ হওয়া সত্ত্বেও ধান, সবজি ও মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং আলু উৎপাদনে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। আলু আমরা এখন বিদেশে রপ্তানি করছি। ভর্তুকি দেওয়ায় আমাদের অর্থনীতি ও কৃষির সঙ্গে সঙ্গে দেশও সার্বিকভাবে উপকৃত হচ্ছে। সম্প্রতি র‌্যাব কর্মকর্তাদের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার এক সপ্তাহ পরেই যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাবের ভূমিকার প্রশংসা করে। সুতরাং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে উভয় দেশ কাজ করছে। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে কাজ করছে ও দুদেশের কূটনৈতিক মহলও এটি নিয়ে কাজ করছে। হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল (গত সোমবার) ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি। এই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি বাংলাদেশের গত কয়েক বছর ধরে যে উন্নয়ন অগ্রগতি তার প্রশংসা করেছেন। এ চিঠির মাধ্যমে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক সেটি ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে’ তা প্রমাণ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিএনপির মন্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানুষের মনে স্বস্তি আসলে বিএনপির মনে অস্বস্তি বেড়ে যায়। এক কোটি পরিবারকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে স্বল্প আয়ের মানুষ স্বল্পমূল্যে পণ্য ক্রয় করতে পারে। এতে করে মানুষের মনে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। তাই বিএনপির মনে অস্বস্তি বেড়ে গেছে। বিএনপি একদিকে সংবাদ সম্মেলন করে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলে, অন্যদিকে অসাধু ব্যবসায়ী মজুতদারদের উৎসাহ দিচ্ছে। তারা যেন পণ্যের দাম বাড়ায়, পণ্য মজুত করে। এজন্য বিএনপি ভেতরে ভেতরে উৎসাহ দিচ্ছে। যেন দ্রব্যমূল্য বাড়লে মানুষের মনে কষ্ট হয়। অর্থাৎ বিএনপি দ্বিচারিতা নীতি অবলম্বন করছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে বলেছেন, দেশের আইন আদালত যা কিছু আছে তা সবকিছু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের আইন ও আদালত স্বাধীন। আইন আদালত স্বাধীন বলেই অনেক আওয়ামী লীগ এমপির বিরুদ্ধে আদালতে রায় হয়। অনেক এমপি আদালতের রায়ে হাজতে বা জেল খানায় যায়। আইন আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। স্বাধীনভাবে কাজ করছে বিধান মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবরা অনেক মামলায় জামিন পায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বিএনপি যে অগ্নি সন্ত্রাস করেছিল সেগুলোর হুকুমের আসামি হচ্ছে মির্জা ফখরুলসহ আরও অনেক বিএনপির নেতা। এসমস্ত মামলায়ও বিএনপি জামিন পেয়েছে। যা সমীচীন নয় বলে আমি মনে করি। তিনি আরও বলেন, আসলে বিএনপি কী বলতে চায় সেটা স্পষ্ট নয়। একবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার চায়, নির্বাচনে যাবে না বলে। আবার তারা জাতীয় সরকারের কথা বলে আসলে তারা কোনটা বলতে চায় স্পষ্ট নয়। তারা এক একসময় এক এক কথা বলে। পত্রিকায় প্রতিবেদন হয়েছে যে, নেতাদের সামলানো নিয়ে বিএনপি এখন ব্যস্ত। তাদের বক্তব্য শুনে মনে হয় রাজনীতির মাঠে বিএনপি খেই হারিয়ে ফেলেছে। তাদের এক এক নেতার এক এক বক্তব্য। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি এখন চেষ্টা করছে সব দলের একটা ঐক্য গড়ে তোলার জন্য। এটি তারা আগেও করার চেষ্টা করেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ডান, বাম, তালেবান এসব ছোট ছোট দল নিয়ে মোর্চা গঠন করেছে। সে মোর্চার ফলাফল হচ্ছে ৫টি আসন। তবে আমরা আশা করি এবার নির্বাচনে যেন তারা বেশি আসন পায়। তারা প্রস্তুতি নিক। তারা যে চেষ্টায় আছে তাতে যদি সফলও হয় তাহলে বজননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধস নামানো বিজয় হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category