১১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশেরই কারণ বায়ুদূষণ: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই দক্ষিণ এশিয়ায়। এরমধ্যে ঢাকা অন্যতম। বাংলাদেশে মোট অকাল মৃত্যুর প্রায় ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে পরিষ্কার বায়ু অর্জনের জন্য সমাধান রয়েছে। তবে এজন্য দেশগুলোকে নীতি এবং বিনিয়োগের সমন্বয় করতে হবে। আজ মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। এই অঞ্চল সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্র। কিছু সূক্ষ্ম কণা বায়ুতে মিশে আছে। যেমন কাঁচ এবং ছোট ধূলিকণা। এর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান থেকে ২০ গুণ বেশি। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি বছর আনুমানিক ২০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। এ ধরনের চরম বায়ুদূষণের সংস্পর্শে শিশুদের মধ্যে স্টান্টিং এবং জ্ঞানীয় বিকাশ কম হয়। বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে। সঠিক পদক্ষেপ এবং নীতির মাধ্যমে বায়ুদূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশ এরইমধ্যে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার অনুমোদনসহ বায়ুর মান ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। শক্তিশালী জাতীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি, বায়ুদূষণ রোধে আন্তঃসীমান্ত সমাধান গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশ্বব্যাংকের পরিচালক সিসিলি ফ্রুম্যান বলেন, বায়ুদূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃতির আন্তঃসীমান্ত। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো যদি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই বায়ুদূষণ রোধ সম্ভব।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

দুর্নীতির মামলায় রাজউকের সাবেক কর্মচারীর ৭ বছরের কারাদ-

বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশেরই কারণ বায়ুদূষণ: বিশ্বব্যাংক

আপডেট সময়ঃ ০৯:২২:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর ১০টি শহরের মধ্যে ৯টিই দক্ষিণ এশিয়ায়। এরমধ্যে ঢাকা অন্যতম। বাংলাদেশে মোট অকাল মৃত্যুর প্রায় ২০ শতাংশের জন্য দায়ী বায়ুদূষণ। বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অঞ্চলে পরিষ্কার বায়ু অর্জনের জন্য সমাধান রয়েছে। তবে এজন্য দেশগুলোকে নীতি এবং বিনিয়োগের সমন্বয় করতে হবে। আজ মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। এই অঞ্চল সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এবং দরিদ্র। কিছু সূক্ষ্ম কণা বায়ুতে মিশে আছে। যেমন কাঁচ এবং ছোট ধূলিকণা। এর ঘনত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান থেকে ২০ গুণ বেশি। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি বছর আনুমানিক ২০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। এ ধরনের চরম বায়ুদূষণের সংস্পর্শে শিশুদের মধ্যে স্টান্টিং এবং জ্ঞানীয় বিকাশ কম হয়। বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলে। সঠিক পদক্ষেপ এবং নীতির মাধ্যমে বায়ুদূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশ এরইমধ্যে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালার অনুমোদনসহ বায়ুর মান ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। শক্তিশালী জাতীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি, বায়ুদূষণ রোধে আন্তঃসীমান্ত সমাধান গুরুত্বপূর্ণ হবে। বিশ্বব্যাংকের পরিচালক সিসিলি ফ্রুম্যান বলেন, বায়ুদূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি প্রকৃতির আন্তঃসীমান্ত। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো যদি সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে তবেই বায়ুদূষণ রোধ সম্ভব।