নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আমাদের দেশ আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও এর বাস্তবায়ন হয়েছে। এর ফলে দেশের শতকরা ৯৮ শতাংশ এলাকা ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন আজিয়াটা লিমিটেডের যুগ্ম ভারপ্রাপ্ত গ্রুপ সিইও ড. হান্স বিজয়াসুরিয়ার। সেসময় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকালে তারা মোবাইল সেবার মানোন্নয়ন ও ফাইভজি প্রযুক্তি সেবা চালু, প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। মোস্তাফা জব্বার বলেন, গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমেই মোবাইল অপারেটরসমূহের প্রতিযোগিতায় শীর্ষ অবস্থান তৈরি করা সম্ভব। স্পেকট্রাম সুবিধাসহ সরকারের দেওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে গুণগত মানের মোবাইলফোন সেবা নিশ্চিত করা মোটেও কঠিন নয়। তিনি বলেন, টেলিযোগাযোগসহ ইন্টারনেট মহাসড়ক নির্মাণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফোরজি নেটওয়ার্ক যুগ অতিক্রম করছে। কোভিডকালে এর ফলে অচল জীবনযাত্রা সহজতর হয়। এসময় মন্ত্রী ডিজিটাল অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, মোবাইল সেবারমান নিশ্চিত করতে অবকাঠামো ও ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নে সম্ভাব্য সবকিছু করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এরইমধ্যে আমরা চাহিদার মানদ- বিবেচনায় রেখে মোবাইল অপারেটরসমূহকে প্রয়োজনমত স্পেকট্রাম বরাদ্দ দিয়েছি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোবাইল অপারেটরসমূহ সহসাই গ্রাহকদের প্রত্যাশিত মোবাইল সেবা প্রদানে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী মন্ত্রী কোভিডকালে দেশের প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় ফোরজি নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে তার নির্দেশ দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়নে রবির ভূমিকার প্রশংসা করেন। সাক্ষাৎকালে ড. হান্স বিজয়াসুরিয়ার জানান, ফাইভজি চালুসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় রবির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ২০২২ সালে প্রদত্ত স্পেকট্রাম গুণগত মানের মোবাইল সেবা নিশ্চিত করতে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি রবির গুণগত সেবা নিশ্চিত করতে ২০২১ ও ২০২২ সালের স্পেকট্রাম নিলামসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন- রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত সিইও এম রিয়াজ রশিদ, চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি শরীফ শাহ জামাল রাজ।