নিজস্ব প্রতিবেদক :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক নারী ইউপি সদস্য। তাদের বিভিন্ন কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় তার পরিবারকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইসরাত জাহান। তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও ও তার ছেলে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুকের বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছেন তাদেরকে মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। তাদের সহযোগী খায়ের মেম্বার সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে বিপুল অংকের টাকাও নিয়েছেন। তিনি আর বলেন, এর আগে শেখ ওমর ফারুকের নির্বাচন না করায় তিনি প্রকাশ্যে আমার ছেলে শফিকুল ইসলাম হৃদয়কে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর প্রতিবাদে আমি মামলা এবং প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করি। এরই জেরে আমার ছেলেকে হত্যা মামলায় জড়িয়েছেন ফিরোজুর রহমান ওলিও। সুলতানপুর ইউনিয়নের বিরামপুর গ্রামের মতিলাল চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিওর পক্ষে নির্বাচন না করায় স্থানীয় বিরামপুর বাজার থেকে আমার ভাই সাধন চৌধুরীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় সাধন চৌধুরী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। কিন্তু গত ৯ সেপ্টেম্বর সাধন চৌধুরীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে থানায় গিয়ে জানতে পারি তাকে পাশের গ্রামের জেলে স্বপন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বিষয়টি তদন্ত করতে স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও বলেন, তাদেরকে কেন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা জানেন। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কমল চৌধুরী, অমিওবালা চৌধুরী, অমল চৌধুরী, সৌরভ সরকার, কাশেম মিয়াসহ আরও অনেকে।