ঢাকা ১২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

বিএনপি’র আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ: তথ্যমন্ত্রী

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ০৮:৫২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ। আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। তথ্যমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ হাসান রাসেলের সভাপতিত্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দীন, ওআইসি ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আইহান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি ৫ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি’র ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে। সবাইকে সাথে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এত অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভূক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে, তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে যেসব উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এ সময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। সভাশেষে অতিথিবৃন্দ ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বইমেলায় তথ্যমন্ত্রী: এদিন বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের স্টল উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এর আগে নজরুল মঞ্চে কবি আসলাম সানী’র কাব্যগ্রন্থ ‘শেখ হাসিনার জয় বিশ্বের বিস্ময়’, ড. মজিদ মাহমুদের ‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু: মহাজীবনের মহাকাব্য’, ফারুক হোসেনের ‘ছড়ায় বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গীতিকার সুজন হাজং, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ ও গ্রন্থকারেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে আরও অধিক দরদাতা, বিশেষ করে দেশি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির ১১টি সুপারিশ এবং পরিকল্পনামন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে সরকারি ক্রয়ে দেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে কমিটি। একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করা হবে। গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। আগামী সপ্তাহে এটি চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমইডির প্রস্তাবটা সুন্দর। এ প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য হচ্ছেÑ আমরা সরকারের জন্য যে ক্রয়গুলো করা হয়, তা ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি থেকেই অনুমোদন দিয়ে থাকি। যেহেতু আমরা অনুমোদন দিই, তাই এগুলো যথাযথভাবে কিনলাম কিনা, সেই সার্ভিসটা পেলাম কিনা, সেটা দেখভাল করে এ কমিটির দায়িত্ব। আমাদের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। টেন্ডারগুলোতে আমরা বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করি, সেখান থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে চাই। তবে, যেগুলো হাইলি টেকনিক্যাল, যেগুলো আমাদের লোকাল কন্ট্রাকটররা ডেভলপ করতে পারেনি, সেক্ষেত্রে আমরা বিদেশিদের অনুমোদন দেবো। তিনি বলেন, আমরা সবসময় লোকাল বিজনেসকে এনকারেজ করি। কারণ লোকাল বিজনেস ডেভলপ করুক। সেজন্য আমরা উৎসাহিত করি। বিদেশি যারা কাজ পাবেন তারা আমাদের লোকাল বিজনেস হাউজগুলোকে জয়েন্ট ভেঞ্চার পার্টনার হিসেবে নিয়ে কাজটি যাতে করে সেই চেষ্টা করছি। সেভাবে করতে পারলে আমাদের লোকাল বিজনেস হাউজগুলো সুযোগ-সুবিধা পাবে। একসময় আসবে নিজেরাই এককভাবে কাজটি করতে পারবে। আমরা নিজস্ব ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করার জন্য এ প্রস্তাবনা আনা হয়েছে। বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যেসব জায়গায় বিদেশিদের আমরা না নিলেও নয়, সেখানে নিজেরাই কাজ করতে পারি সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া। সেজন্য আমরা অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি করেছিলাম। তারা অনেক কাজ করেছেন। আমরা সবার কথা শুনেছি, এটাকে আগামী সভায় চূড়ান্ত করবো।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজ উৎপাদন নিয়ে কৃষকের লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে

বিএনপি’র আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ০৮:৫২:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র আচরণ গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই রাষ্ট্রপতি, সার্চ কমিটি এবং সংলাপকে অবজ্ঞা করছে। তাদের এ আচরণ দেশের গণতন্ত্রের জন্য, দেশের জন্য অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ। আসলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে ধ্বংস করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। তথ্যমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল মিলনায়তনে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ হাসান রাসেলের সভাপতিত্বে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দীন, ওআইসি ইয়ুথ ফোরামের প্রেসিডেন্ট তাহা আইহান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাথে বসে তাদের কাছ থেকে নাম নিয়ে একটি অসাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে, যা দেশের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে রাষ্ট্রপতি তার ক্ষমতাটা সার্চ কমিটির হাতে দিয়েছেন। সার্চ কমিটি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন, যেখান থেকে তিনি ৫ জনকে নিয়োগ দেবেন। বিএনপি’র ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সার্চ কমিটিকে বলেছেন, বিএনপির আসা প্রয়োজন, কিন্তু বিএনপি শুরু থেকেই পুরো প্রক্রিয়াকেই না করেছে। সবাইকে সাথে নিয়ে সার্চ কমিটি যেভাবে কাজ করছে এজন্য তারা সত্যিকার অর্থেই দেশবাসীর ধন্যবাদ পাওয়ার অধিকার রাখে এবং ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা এমনকি কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও এত অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এর আগে বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্যভূক্ত করেছিলেন। যে কারণে আজকে আমরা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটালের অনুষ্ঠানাদি আয়োজন করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক আগ্রহেই আজ বাংলাদেশ ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। যখন আমাদের যুব ক্রিকেট দল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়, আমাদের নারী ক্রিকেট দল এশিয়া কাপ জিতে নেয়, নারী ফুটবল দল ১১ গোলে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়, এমনকি আমাদের শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ যখন এশীয় অলিম্পিক থেকে পদক নিয়ে আসে, তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়ায় উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে যেসব উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিয়েছেন সেজন্যই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি এবং তারুণ্যের শক্তি দিয়ে দেশ ও বিশ্বকে আমরা সমৃদ্ধির সোপানে উন্নীত করবো উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ এ সময় ঢাকাকে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল হিসেবে নির্বাচিত করায় ওআইসি ইয়ুথ ফোরামকে এবং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। সভাশেষে অতিথিবৃন্দ ওআইসি ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ে ১০টি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বইমেলায় তথ্যমন্ত্রী: এদিন বিকেলে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের স্টল উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এর আগে নজরুল মঞ্চে কবি আসলাম সানী’র কাব্যগ্রন্থ ‘শেখ হাসিনার জয় বিশ্বের বিস্ময়’, ড. মজিদ মাহমুদের ‘সাহিত্যে বঙ্গবন্ধু: মহাজীবনের মহাকাব্য’, ফারুক হোসেনের ‘ছড়ায় বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গীতিকার সুজন হাজং, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ ও গ্রন্থকারেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে আরও অধিক দরদাতা, বিশেষ করে দেশি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির ১১টি সুপারিশ এবং পরিকল্পনামন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে তুলে ধরা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে সরকারি ক্রয়ে দেশি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছে কমিটি। একই সঙ্গে বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার জন্য উৎসাহিত করা হবে। গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী। আগামী সপ্তাহে এটি চূড়ান্ত হবে বলেও জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমইডির প্রস্তাবটা সুন্দর। এ প্রস্তাবনার মূল লক্ষ্য হচ্ছেÑ আমরা সরকারের জন্য যে ক্রয়গুলো করা হয়, তা ক্রয়সংক্রান্ত কমিটি থেকেই অনুমোদন দিয়ে থাকি। যেহেতু আমরা অনুমোদন দিই, তাই এগুলো যথাযথভাবে কিনলাম কিনা, সেই সার্ভিসটা পেলাম কিনা, সেটা দেখভাল করে এ কমিটির দায়িত্ব। আমাদের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। টেন্ডারগুলোতে আমরা বিদেশিদের আমন্ত্রণ জানানোর চেষ্টা করি, সেখান থেকে আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসতে চাই। তবে, যেগুলো হাইলি টেকনিক্যাল, যেগুলো আমাদের লোকাল কন্ট্রাকটররা ডেভলপ করতে পারেনি, সেক্ষেত্রে আমরা বিদেশিদের অনুমোদন দেবো। তিনি বলেন, আমরা সবসময় লোকাল বিজনেসকে এনকারেজ করি। কারণ লোকাল বিজনেস ডেভলপ করুক। সেজন্য আমরা উৎসাহিত করি। বিদেশি যারা কাজ পাবেন তারা আমাদের লোকাল বিজনেস হাউজগুলোকে জয়েন্ট ভেঞ্চার পার্টনার হিসেবে নিয়ে কাজটি যাতে করে সেই চেষ্টা করছি। সেভাবে করতে পারলে আমাদের লোকাল বিজনেস হাউজগুলো সুযোগ-সুবিধা পাবে। একসময় আসবে নিজেরাই এককভাবে কাজটি করতে পারবে। আমরা নিজস্ব ক্যাপাসিটি বিল্ডআপ করার জন্য এ প্রস্তাবনা আনা হয়েছে। বৈঠকে এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যেসব জায়গায় বিদেশিদের আমরা না নিলেও নয়, সেখানে নিজেরাই কাজ করতে পারি সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া। সেজন্য আমরা অর্থবিভাগের সিনিয়র সচিব রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি কমিটি করেছিলাম। তারা অনেক কাজ করেছেন। আমরা সবার কথা শুনেছি, এটাকে আগামী সভায় চূড়ান্ত করবো।