০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | ই-পেপার

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচারকাজের গতি বাড়াতে হবে: আইনমন্ত্রী

  • দৈনিক আইন বার্তা
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
  • ১৩০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজ করার গতি বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বিচারকদেরকেও এটা বিবেচনায় নিয়ে বিচারকাজের গতি বাড়াতে হবে। বিচারকরা দ্রুত বিচারকাজ কীভাবে সম্পন্ন করবেন, সেটা নিয়ে তাদের ভাবতে হবে। আজ বুধবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের ৪৬ ও ৪৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, যুগ কিন্তু পাল্টে গেছে। আপনারা এখন ডিজিটাল যুগের বিচারক। আগে বিচারকাজে দেরি হলে, বিভিন্ন কারণ উপলব্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিতো। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তারা কিন্তু বিচারের বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না। জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার চায়। তিনি বলেন, একটি কথা চালু আছে, ‘জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড’ এবং ‘জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড’। আপনাদেরকে এই দুটোর মধ্যে কিন্তু সমন্বয় করতে হবে। একটি ভারসাম্যের মধ্যে আসতে হবে। আনিসুল হক বলেন, সবসময় একটি অভিযোগ আসে বিচারকাজ করতে গেলে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী দিতে দেরি হয়। কারণ তাদেরকে খুঁজে বের করতে, চিহ্নিত করতে এবং কর্মস্থল থেকে বিচারিক আদালতে আনতে অনেকদিন সময় লেগে যায়। এ সমস্যা দূর করার অংশ হিসেবে মামলার চার্জশিটে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে আদালতে আনা যাবে। তিনি বলেন, এখন আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রত্যেক সাক্ষীকে মামলার তারিখ জানানো। এর ফলে তারা আর বলতে পারবেন না যে, আমরা সংবাদ পাই নাই বা আমি এইজন্য আদালতে আসতে পারিনি। মন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু এগুলো করে যাচ্ছি। এখন বিচারকদের যেটা নিশ্চয়তা দিতে হবে, সেটা হলো যেদিন মেডিকেল অফিসার বা তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসবেন- সেদিন যেন তার সাক্ষীটা হয়। এই জিনিসটা বিচারকদের নিশ্চিত করতে হবে। আনিসুল হক আরও বলেন, নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করেছি। এটা আমাদের মর্যাদার ব্যাপার। এই সেতুর কল্যাণে এখন ঢাকা থেকে চার ঘণ্টায় বরগুনা যাওয়া যাচ্ছে। যেটা আগে লাগত কমপক্ষে ১০-১২ ঘণ্টা। আমাদেরও কিন্তু বিচার করতে গেলে এই গতিটা মেইনটেইট করতে হবে। তা নাহলে ৩৯ লাখ মামলাজট কমিয়ে আনতে পারবো না। তিনি জানান, জুডিসিয়াল অফিসার আরও বাড়ানো হবে। বিচারকের সংখ্যা গিয়ে তিন হাজারে ঠেকতে হবে। জুডিসিয়াল অফিসাররা যাতে গাড়ি কেনার জন্য স্বল্প সুদে সরকারি ঋণ পান সে ব্যবস্থা তিনি করবেন বলেও বিচারকদের আশ্বস্ত করেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার বক্তব্য দেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

তিন পার্বত্য জেলাকে কফি অঞ্চল বানাতে চাই: পার্বত্য উপদেষ্টা

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচারকাজের গতি বাড়াতে হবে: আইনমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ১২:০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজ করার গতি বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বিচারকদেরকেও এটা বিবেচনায় নিয়ে বিচারকাজের গতি বাড়াতে হবে। বিচারকরা দ্রুত বিচারকাজ কীভাবে সম্পন্ন করবেন, সেটা নিয়ে তাদের ভাবতে হবে। আজ বুধবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের ৪৬ ও ৪৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, যুগ কিন্তু পাল্টে গেছে। আপনারা এখন ডিজিটাল যুগের বিচারক। আগে বিচারকাজে দেরি হলে, বিভিন্ন কারণ উপলব্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিতো। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তারা কিন্তু বিচারের বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না। জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার চায়। তিনি বলেন, একটি কথা চালু আছে, ‘জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড’ এবং ‘জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড’। আপনাদেরকে এই দুটোর মধ্যে কিন্তু সমন্বয় করতে হবে। একটি ভারসাম্যের মধ্যে আসতে হবে। আনিসুল হক বলেন, সবসময় একটি অভিযোগ আসে বিচারকাজ করতে গেলে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষী দিতে দেরি হয়। কারণ তাদেরকে খুঁজে বের করতে, চিহ্নিত করতে এবং কর্মস্থল থেকে বিচারিক আদালতে আনতে অনেকদিন সময় লেগে যায়। এ সমস্যা দূর করার অংশ হিসেবে মামলার চার্জশিটে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে আদালতে আনা যাবে। তিনি বলেন, এখন আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রত্যেক সাক্ষীকে মামলার তারিখ জানানো। এর ফলে তারা আর বলতে পারবেন না যে, আমরা সংবাদ পাই নাই বা আমি এইজন্য আদালতে আসতে পারিনি। মন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু এগুলো করে যাচ্ছি। এখন বিচারকদের যেটা নিশ্চয়তা দিতে হবে, সেটা হলো যেদিন মেডিকেল অফিসার বা তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসবেন- সেদিন যেন তার সাক্ষীটা হয়। এই জিনিসটা বিচারকদের নিশ্চিত করতে হবে। আনিসুল হক আরও বলেন, নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করেছি। এটা আমাদের মর্যাদার ব্যাপার। এই সেতুর কল্যাণে এখন ঢাকা থেকে চার ঘণ্টায় বরগুনা যাওয়া যাচ্ছে। যেটা আগে লাগত কমপক্ষে ১০-১২ ঘণ্টা। আমাদেরও কিন্তু বিচার করতে গেলে এই গতিটা মেইনটেইট করতে হবে। তা নাহলে ৩৯ লাখ মামলাজট কমিয়ে আনতে পারবো না। তিনি জানান, জুডিসিয়াল অফিসার আরও বাড়ানো হবে। বিচারকের সংখ্যা গিয়ে তিন হাজারে ঠেকতে হবে। জুডিসিয়াল অফিসাররা যাতে গাড়ি কেনার জন্য স্বল্প সুদে সরকারি ঋণ পান সে ব্যবস্থা তিনি করবেন বলেও বিচারকদের আশ্বস্ত করেন। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার বক্তব্য দেন।