০২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫ | ই-পেপার

বেশি গরম পড়লে বিএনপি বলবে আ. লীগের দোষ: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি গরম পড়লে বিএনপি আওয়ামী লীগের দোষ দেবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার সচিবালয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) এখন স্বাভাবিক পথে যেতে চায় না, তাদের আন্দোলনে ভাঁটা নেমেছে। সে কারণে তারা নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি না, সেটা কিন্তু আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগল কেন? ওখানে (সীতাকু-ে) অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, দোষ কার? আওয়ামী লীগের? সীতাকু-ে কার্বন ডাই অক্সাইড আর নাইট্রোজেন একই জায়গায় রাখাতে সংঘর্ষ হয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু এখন দোষ কার? আওয়ামী লীগের? সব দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপায়। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল যেভাবে বলছেন তাতে মনে হয়, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি গরম পড়লে, বলবে দোষ আওয়ামী লীগের! হঠাৎ খুব বেশি শীত হলে দোষ আওয়ামী লীগের! হঠাৎ করে বন্যা এলে দোষ আওয়ামী লীগের! তারপর বলবে যে, বাংলাদেশে বজ্রপাতে এত লোকের মৃত্যু, এটার দোষও আওয়ামী লীগের! এটা বিএনপি বলতে পারে। বিএনপির মুখে কোনো কিছু বাধে না। সরকার দেশের শান্তি চায় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার তো দেশের শান্তি চাইবে ক্ষমতায় থাকার জন্য। সরকার কেন গোলমাল লাগাবে? গোলমাল তো লাগাচ্ছে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় থাকার জন্য কেউ গোলমাল করে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য শান্তিপূর্ণ একটি পরিবেশ সবাই চায়, সে যে সরকারই থাকুক না কেন। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। গণতন্ত্র ব্যাকডোরে আলোচনা নয়। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনো দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না। নির্বাচন সমানে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনীভূত হলেও তা কেটেও গেছে। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধীদল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য যে সংবিধান আছে, সেই সংবিধান পরিবর্তন করে কোনো ধরনের বিকল্প প্রস্তাব, কারও অনুকূল সমর্থন করার সুযোগ নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেবো না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবো না। পৃথিবীর অন্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে, সেই সংকটে আমরা পড়িনি। তিনি আরও বলেন, তাদের অবস্থানটা কী? তাদের অবস্থান ক্ষমতায় যাওয়া নয়। তাদের অবস্থান শেখ হাসিনাকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। বিএনপির লক্ষ্য একটাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো। বিএনপির আন্দোলন ও অর্থনৈতিক সংকট, কোনটি বড় চ্যালেঞ্জ? এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে যত গর্জে ততটা বর্ষে না। কারণ তারা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থানের আশায়, সেখান থেকে নেমে এলো নীরব পদযাত্রা। এখন তারা সেখান থেকে নিঃশব্দ মানববন্ধনে নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনের গতি দেখলে বোঝা যায় তারা যতটুকু জনগণের অংশগ্রহণ আশা করেছিল তা হয়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো গণআন্দোলন সম্ভব নয়। তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে মূলত আন্দোলন ছিল, সেটিও এখন কমে গেছে। তাদের আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট আছে। এটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির থেমে যাওয়ার লক্ষণ নেই। সেই যুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এখনো চলছে। ফলে সারা দুনিয়ায় সংকট আছে। জনজীবন, তেলের দাম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ অনেক সংকট আছে। বাংলাদেশেও সংকট আছে। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের জনগণ অনেক ধৈর্যশীল। সরকারের সদিচ্ছার প্রতি জনগণের আস্থা আছে। বিরোধীদল উসকে দিলেও মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করেনি। মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে জনগণের আস্থা আছে, তাই কোনো গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা নেই। ফখরুল বলেছেন কথা বললেই মামলা দেয়, এ বিষয়ে তিনি বলেন, কথা বললেই মামলা দেয়, প্রমাণ কী? তারা তো দেশে ’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, সেই স্লোগানও দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আক্রমণ করছে। তারপরও কি তাদের নেতারা জেলে আছে? যার যা খুশি বলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তারা ’৭১-এর চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। বিএনপির আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে ফেলা। এসব বিএনপির আন্দোলন। আমরা মাঠে না থাকলে তারা এটা করবে না, তার গ্যারান্টি নেই। আমরা ক্ষমতায়, আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। আর রাস্তায় ফখরুল সাহেবরা বের হচ্ছেন, কর্মসূচি পালন করছেন। কেউ তো কিছু বলছে না। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তো তাদের হচ্ছে না। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপাতত নেই (চলাচলের অনুমতির চিন্তাভাবনা)। এখনতো শান্তিতেই আছে পদ্মা সেতু। গত বছরের ২৭ জুন পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এ বিষয়ে ২৬ জুন রাতে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। এদিকে ঢাকা ও অন্যান্য শহরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়। এটি এখনো আমার টেবিলে আসেনি। নীতিমালা একটা ড্রাফট করলেই যে সেটি ফাইনাল, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমার টেবিলে আসেনি, আমি এটি দেখবো। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

বেশি গরম পড়লে বিএনপি বলবে আ. লীগের দোষ: কাদের

আপডেট সময়ঃ ০৮:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি গরম পড়লে বিএনপি আওয়ামী লীগের দোষ দেবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার সচিবালয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) এখন স্বাভাবিক পথে যেতে চায় না, তাদের আন্দোলনে ভাঁটা নেমেছে। সে কারণে তারা নাশকতার দিকে যাচ্ছে কি না, সেটা কিন্তু আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। সম্প্রতি বিভিন্ন ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগল কেন? ওখানে (সীতাকু-ে) অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, দোষ কার? আওয়ামী লীগের? সীতাকু-ে কার্বন ডাই অক্সাইড আর নাইট্রোজেন একই জায়গায় রাখাতে সংঘর্ষ হয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে। কিন্তু এখন দোষ কার? আওয়ামী লীগের? সব দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপায়। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল যেভাবে বলছেন তাতে মনে হয়, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে খুব বেশি গরম পড়লে, বলবে দোষ আওয়ামী লীগের! হঠাৎ খুব বেশি শীত হলে দোষ আওয়ামী লীগের! হঠাৎ করে বন্যা এলে দোষ আওয়ামী লীগের! তারপর বলবে যে, বাংলাদেশে বজ্রপাতে এত লোকের মৃত্যু, এটার দোষও আওয়ামী লীগের! এটা বিএনপি বলতে পারে। বিএনপির মুখে কোনো কিছু বাধে না। সরকার দেশের শান্তি চায় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার তো দেশের শান্তি চাইবে ক্ষমতায় থাকার জন্য। সরকার কেন গোলমাল লাগাবে? গোলমাল তো লাগাচ্ছে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় থাকার জন্য কেউ গোলমাল করে না। ক্ষমতায় থাকার জন্য শান্তিপূর্ণ একটি পরিবেশ সবাই চায়, সে যে সরকারই থাকুক না কেন। বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো আলোচনা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যা করি প্রকাশ্যে করি। গণতন্ত্র ব্যাকডোরে আলোচনা নয়। আলোচনা হলে প্রকাশ্যেই হবে। তবে সেই সুযোগ এখনো দেখছি না। আমরা কাউকে আলোচনার জন্য ডাকছি না। নির্বাচন সমানে রেখে এ ধরনের সংকট আমাদের দেশে নতুন নয়। কালো মেঘ ঘনীভূত হলেও তা কেটেও গেছে। আমি আশাবাদী মানুষ, আমি মনে করি এ সংকট কেটে যাবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র আছে, নির্বাচন আছে। সরকার আছে, বিরোধীদল আছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি যার জন্য যে সংবিধান আছে, সেই সংবিধান পরিবর্তন করে কোনো ধরনের বিকল্প প্রস্তাব, কারও অনুকূল সমর্থন করার সুযোগ নেই। আমরা কোনো পরিস্থিতিতে সংবিধানের প্রশ্নে ছাড় দেবো না। সংবিধানের মধ্যেই সমাধান খুঁজতে হবে। এর বাইরে কোনো প্রস্তাব আমরা গ্রহণ করবো না। পৃথিবীর অন্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবে এখানেও হবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া হবে। তখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পরিচালিত হবে। সংবিধানের মধ্যে থেকে তারা নির্বাচন পরিচালনা করবেন। সংবিধান পরিবর্তন করে নির্বাচন করতে হবে, সেই সংকটে আমরা পড়িনি। তিনি আরও বলেন, তাদের অবস্থানটা কী? তাদের অবস্থান ক্ষমতায় যাওয়া নয়। তাদের অবস্থান শেখ হাসিনাকে হটানো। ক্ষমতায় যাওয়া তাদের লক্ষ্য নয়। বিএনপির লক্ষ্য একটাই, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো। বিএনপির আন্দোলন ও অর্থনৈতিক সংকট, কোনটি বড় চ্যালেঞ্জ? এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন বাস্তবে যত গর্জে ততটা বর্ষে না। কারণ তারা ছিল একটি গণঅভ্যুত্থানের আশায়, সেখান থেকে নেমে এলো নীরব পদযাত্রা। এখন তারা সেখান থেকে নিঃশব্দ মানববন্ধনে নেমে এসেছে। তাদের আন্দোলনের গতি দেখলে বোঝা যায় তারা যতটুকু জনগণের অংশগ্রহণ আশা করেছিল তা হয়নি। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো গণআন্দোলন সম্ভব নয়। তাদের নেতাকর্মীদের দিয়ে মূলত আন্দোলন ছিল, সেটিও এখন কমে গেছে। তাদের আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না। তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবো। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সংকট আছে। এটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগির থেমে যাওয়ার লক্ষণ নেই। সেই যুদ্ধে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা এখনো চলছে। ফলে সারা দুনিয়ায় সংকট আছে। জনজীবন, তেলের দাম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিসহ অনেক সংকট আছে। বাংলাদেশেও সংকট আছে। সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে পরিস্থিতি সামাল দেওয়াই একটি চ্যালেঞ্জ। আমাদের জনগণ অনেক ধৈর্যশীল। সরকারের সদিচ্ছার প্রতি জনগণের আস্থা আছে। বিরোধীদল উসকে দিলেও মানুষ তাতে অংশগ্রহণ করেনি। মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকারের আন্তরিক প্রয়াসে জনগণের আস্থা আছে, তাই কোনো গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা নেই। ফখরুল বলেছেন কথা বললেই মামলা দেয়, এ বিষয়ে তিনি বলেন, কথা বললেই মামলা দেয়, প্রমাণ কী? তারা তো দেশে ’৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার, সেই স্লোগানও দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আক্রমণ করছে। তারপরও কি তাদের নেতারা জেলে আছে? যার যা খুশি বলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, তারা ’৭১-এর চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। বিএনপির আন্দোলন মানেই আগুন সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, ভূমি অফিস পুড়িয়ে ফেলা। এসব বিএনপির আন্দোলন। আমরা মাঠে না থাকলে তারা এটা করবে না, তার গ্যারান্টি নেই। আমরা ক্ষমতায়, আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। তারা ক্ষমতায় থাকতে আমাদের দাঁড়াতেই দেয়নি। আর রাস্তায় ফখরুল সাহেবরা বের হচ্ছেন, কর্মসূচি পালন করছেন। কেউ তো কিছু বলছে না। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা তো তাদের হচ্ছে না। পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপাতত নেই (চলাচলের অনুমতির চিন্তাভাবনা)। এখনতো শান্তিতেই আছে পদ্মা সেতু। গত বছরের ২৭ জুন পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। এ বিষয়ে ২৬ জুন রাতে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ থাকবে। এদিকে ঢাকা ও অন্যান্য শহরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়। এটি এখনো আমার টেবিলে আসেনি। নীতিমালা একটা ড্রাফট করলেই যে সেটি ফাইনাল, সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। আমার টেবিলে আসেনি, আমি এটি দেখবো। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। জনগণের মনের ভাষা, চোখের ভাষা আমরা বুঝি।